সিবিআইকে দেওয়া দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মায়ের চিঠিকে হাতিয়ার করে পিসি - ভাইপোকে ব্যাপক আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার দুপুরে টুইটারে তিনি সিআইডিকে পিসি - ভাইপোর দারোয়ান বলে আক্রমণ করেন। বুধবার সিবিআইকে চিঠি দেন দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মা শর্বরীদেবী। তাতে তিনি দাবি করেন, সুজন চক্রবর্তী ও শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিতে দেবযানীকে চাপ দিচ্ছে সিআইডি।
এদিন টুইটারে শুভেন্দু লেখেন, ‘লজ্জা, চরম লজ্জা! যে সিআইডি এক সময় মর্যাদার সঙ্গে কাজ করেছে সে আজ বাংলার পিসি - ভাইপোর দারোয়ানে পরিণত হয়েছে। বন্দ্যোপাধ্যায়দের স্বার্থরক্ষায় অপরাধকে ইন্ধন দিচ্ছে সিআইডি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনতে জেলবন্দি কয়েদিকে চাপ দেওয়া হচ্ছে’।
গল্ফগ্রিন থানায় পিটিয়ে খুনের অভিযোগ! সিসিটিভি ফুটেজ জমার নির্দেশ হাইকোর্টের
সিবিআইকে চিঠি দিয়ে দেবযানীর মা শর্বরী মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, গত ২৩ অগাস্ট সারদাকাণ্ডে জেরা করার নামে জেলে যান অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় নামে এক সিআইডি আধিকারিক। সারদাকাণ্ড নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন করার পরই দেবযানীকে তিনি বলেন, তাঁকে শুভেন্দু অধিকারী ও সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হতে হবে। বলতে হবে সুজন ও শুভেন্দু ২ জনই সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে ৬ কোটি টাকা করে নিয়েছেন। আর সেই টাকার লেনদেন হয়েছে তাঁর সামনে। সিআইডি আধিকারিকের এই প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করে দেন দেবযানী। তখন তাঁকে ওই সিআইডি আধিকারিক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কথা না শুনলে ৯টি ভুয়ো মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে তাঁকে।
অভিযোগ অস্বীকার করে সিআইডির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২৩ অগাস্ট দেবযানীকে জেরা করতে দমদম জেলে CID-র এক আধিকারিক গিয়েছিলেন একথা সত্যি। সিআইডির হাতে সারদাকাণ্ডের যে মামলাগুলি রয়েছে তার তদন্তে দেবযানীর সই করা কয়েকটি চেক সিআইডির হাতে আসে। সেই চেকগুলির ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এক আধিকারিক দমদম জেলে গিয়েছিলেন। কেন ওই চেকগুলি দেওয়া হয়েছিল তা জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেবযানী সহযোগিতা করেননি।
তিনি আরও দাবি করেন, জেরার সময় সেই ঘরে ছিলেন জেলের এক আধিকারিক ও ১ মহিলা জেলকর্মী। ফলে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠছে তা ঠিক নয়।