এবার নবান্ন বনাম রাজভবন সংঘাত চরমে উঠল। কারণ আজ রাজ্যের বিধিনিষেধ একদিকে যেমন শিথিল করা হল তেমনই কিছু বিধিনিষেধ বহাল রাখা হল। এই বিষয়ে আজ নবান্নের সভাঘরে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে তুলোধনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, এরকম রাজ্যপাল আগে দেখিনি। ওনার বিরুদ্ধে তদন্ত আগে করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
আজই রাজ্যপাল সাপ্তাহিক সফর শেষ করে পাহাড় থেকে কলকাতায় ফিরেছেন। তবে কলকাতায় ফেরার আগে বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন, জিটিএ যে উদ্দেশ্যে তৈরি হযেছিল তা বাস্তবায়িত হয়নি। তাছাড়া এখানে ২০১৭ সাল থেকে অডিট হয়নি। সিএজি বা ক্যাগ–কে দিয়ে অডিট করালেই সত্য বেরিয়ে আসবে। আর তারপরেই কলকাতায় ফিরে মুখ্যমন্ত্রীর তোপের মুখ পড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এতদিন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীরা। এবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তোপ দাগায় নবান্ন–রাজভবন সংঘাত চরমে উঠল বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘রাজ্যপাল এখন কেন উত্তরবঙ্গে গেলেন? আমি এমন রাজ্যপাল আগে কখনও দেখিনি। ওনার বিরুদ্ধেই আগে তদন্ত করা উচিত। কারণ তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত। আমি ইতিমধ্যেই তাঁকে সরানোর জন্য তিনটি চিঠি লিখেছি। ১৯৯৬ সালের হাওয়ালা জৈন কাণ্ডের চার্জশিটে তাঁর নাম রয়েছে। চার্জশিটে নাম ছিল কিনা প্রকাশ করুন।’ এই মন্তব্য করার পর রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় হয়ে গিয়েছে।
এদিন তিনি আরও অভিযোগ করেন, জিটিএ নিয়ে তদন্তের আগে রাজ্যপালের সফরের তদন্ত হওয়া উচিত। কাদের নিয়ে গিয়েছে, কত টাকা খরচ হয়েছে, সব তদন্ত হওয়া উচিত। দার্জিলিংয়ের উপর এত রাগ কেন? যা ইচ্ছে তাই করবেন, মেনে নেব না। উত্তরবঙ্গকে অশান্ত করতে জেনে বুঝে দার্জিলিংয়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল। শুধু বিজেপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যপাল। উত্তরবঙ্গকে ভাগের চক্রান্ত চলছে, এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করছেন রাজ্যপাল।