কোড ল্যাঙ্গুয়েজ। সেই ভাষাতেই কয়লা পাচারের ঘুষের টাকা লেনদেন করা হত। আদালতে বিস্ফোরক দাবি করলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন, সঙ্কেতের মাধ্যমে কয়লাপাচারের টাকার লেনদেন হত। তদন্তকারীদের হাতে সেই সংক্রান্ত কিছু তথ্যও এসেছে। সূত্রের খবর, মূলত অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে জেরা করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে সিবিআইয়ের কাছে। এমনকী লালার কাছ থেকে কিছু ডায়েরি ও ভাউচারের নথি মিলেছে। আবার কয়লা কেলেঙ্কারিতে ধৃত ইসিএল কর্তাদের দফতর থেকে উদ্ধার হওয়া নথির সঙ্গে মিল রয়েছে তার। আর ভাউচারের মাধ্যমে টাকার লেনদেনের সময় এই সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হত বলে অভিযোগ।
তবে ধৃতদের আইনজীবীদের দাবি, অবৈধ কয়লা খনন আটকানোর জন্য তাঁদের মক্কেলরা আগেই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে চিঠি দিয়েছিলেন। এনিয়ে টাস্ক ফোর্সও গঠন করা হয়েছিল।
এদিকে ইসিএলের প্রাক্তন, বর্তমান সহ মোট ৮জনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। এবার সাংকেতিক ভাষা সংক্রান্ত ব্যাপারে ধৃতদের জেরা করবেন তদন্তকারীরা।
তবে গোটা বিষয়টির সঙ্গে যে একটি বড় চক্র জড়িয়ে ছিল তা ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে। তদন্তকারীরা ইসিএল কর্তাদের জেরা করে, একাধিক নথি মিলিয়ে এই সাংকেতিক ভাষা উদ্ধার করতে চাইছেন।
এদিকে কয়লা পাচারের জাল যে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত তা ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে।