দক্ষিণ কলকাতার রুবি পার্কে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছিল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। সেই পুজোতে অসুর রূপে দেখানো হয়েছিল মহাত্মা গান্ধীর আদলে তৈরি একজনকে। এই নিয়ো জোর বিতর্ক শুরু হয়েছিল। এরপই পুলিশে এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল পুজো উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ এসে মূর্তি বদল করে দিয়ে যায়। গান্ধীর বদলে মা দুর্গার ত্রিশূলের নিচে এখন মহিষাসুর।
হিন্দু মহাসভার সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য, ‘গান্ধীকে অসুর রূপে দেখানো হয়নি। এই মিল নিতান্তই কাকতালীয়।’ তিনি জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ কসবা থানার পুলিশ এসে অসুরের মূর্তির মাথায় চুল লাগিয়ে দিয়ে যায়। তাঁর কথায়, পুলিশ নাকি বলে, মূর্তি বদল না করলে তা বিসর্জন দিতে দেওয়া হবে না।
চন্দ্রচূড় গোস্বামী জানিয়েছেন, রুবি পার্কের কাছে প্রথমবার মতো দুর্গাপূজার আয়োজন করেছেন তাঁরা। আয়োজনের জন্য পুলিশ, কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, দমকল বাহিনী এবং বাকিদের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। কেউই পুজোয় আপত্তি করেনি। তিনি আরও দাবি করেন, তাঁরা গান্ধীকে জাতির পিতা হিসেবে মানেন না।
উল্লেখ্য, এ বছর ২ অক্টোবর অর্থাৎ মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনটি দুর্গাপুজোর মধ্যে পড়েছে। গতকাল ছিল সপ্তমী এবং গান্ধীজয়ন্তী। তার মধ্যে এই ঘটনায় গোটা দেশে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ২ অক্টোবর অর্থাৎ গান্ধী জয়ন্তীর দিনটি অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা ‘কালা দিবস’ হিসাবে পালন করে।