লালপার্টির পক্ষ থেকে ২০১১ সালের পরও বলা হতো, ‘মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে।’ কিন্তু একুশের নির্বাচনের পর আর সে দাবি করতে পারছেন না আলিমুদ্দিনের কর্তারা।। কারণ আসন শূন্য। জোট করেও লাভ হয়নি। দলের অন্দরেই দোষারোপের পালা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কারণ অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁরা। পার্টির অন্দরে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণের পরেও থেমে থাকছে না আলিমুদ্দিন। ভরাডুবির কারণ সন্ধানে এবার জনতার দরবারে যেতে চলেছে সিপিআইএম। এমনকী আমজনতার পরামর্শ পাওয়ার পরেই ভরাডুবির কারণ চূড়ান্ত করবে পার্টি।
ইতিমধ্যেই পার্টির অন্দরে চলছে ময়নাতদন্ত। জেলার পর পার্টির শাখা সংগঠন—সর্বত্র রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে। অবশেষে হাজির জনতার দরবারে। একুশের নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠন, বিশিষ্টজন, সাধারণ মানুষ—বিপর্যয়ের জন্য একাধিক কারণ উল্লেখ করে মন্তব্য বা যুক্তি পেশ করেছেন। সেসব যুক্তিকে এবার অখাদ্য বলে নর্দমায় ফেলে দিতে নারাজ আলিমুদ্দিনের কর্তারা। তবে আরও জানতেই এবার জনতার দরবার।
কিভাবে নেওয়া হবে সেই মতামত–যুক্তি–ব্যাখ্যা? দলীয় সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি পার্টির বিভিন্ন মুখপত্র মারফত সাধারণ মানুষের কাছে মতামত–যুক্তি–ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হবে। এমনকী যে কেউ আলিমুদ্দিনে হাজির হয়ে লিখিতভাবে নিজের মতামত দিতে পারবেন। সেইসব পরামর্শ, যুক্তি বা ব্যাখ্যা পাওয়ার পর নিজেদের অনুসন্ধানের সঙ্গে যুক্ত করে নির্বাচনী বিপর্যয়ের কারণের উপর খসড়া দলিল তৈরি করা হবে বলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর।