বিধাননগর পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪৩। গ্রামীণ এলাকার মধ্যে আমডাঙা ব্লকে ৩৭৩ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত কয়েক সপ্তাহে এখানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে বনগাঁ ব্লকে। এখন সেখানে ৩০৭ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
সিজিও কমপ্লেক্স। বিধাননগর
আজ, শনিবার সিজিও কমপ্লেক্সে হানা দিয়ে মিলল ডেঙ্গির লার্ভা। আর কাছে যেতেই পুরসভার কর্মীরা অনুভব করলেন, এ যেনও মশার আঁতুড়ঘর। এখানে মশার উৎপাত যে বেড়েছে তা টের পেয়েছিলেন সরকারি অফিসাররা। তাই মশা নিধনের জন্য তাঁরাই আবেদন করেছিলেন বিধাননগর পুরসভাকে চিঠি দিয়ে। সেই চিঠির ভিত্তিতে আজ এই অফিসে অভিযানে আসেন বিধাননগর পুরসভার কর্মীরা। আর তখনই সিজিও কমপ্লেক্সের ভিতরে মিলল ডেঙ্গির লার্ভা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
এদিকে এখানে রয়েছে নানা গুরুত্বপূর্ণ সব অফিস। কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস রয়েছে এখানে। তাছাড়া নানা জরুরি নথি এখানে থাকে। এখানে কাজ করেন একাধিক সরকারি কর্মচারী। তাই ঝুঁকি নিতে চাননি কেউ। এই কারণে মশা নিধনের আবেদন জানিয়ে বিধাননগর পুরসভাকে চিঠি দেওয়া হয়। তবে অভিযানে এসে সিজিও কমপ্লেক্সের ভিতরে মিলল ডেঙ্গির লার্ভা। এখানের পরিত্যক্ত আসবাব, ফুলের টবে জমা জলে মিলেছে ডেঙ্গির লার্ভা। অর্থাৎ খোদ কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন না থাকায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যে কোনও মুহূর্তেই এখানের মশা কামড়ে ডেঙ্গি ছড়িয়ে দিতে পারত।
অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনা জুড়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। চলতি মরশুমে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র শহরাঞ্চলেই আক্রান্ত ১ হাজার ৫৯৭ জন। এছাড়া ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। কলকাতায় মারা গিয়েছেন বেশ কয়েকজন ডেঙ্গিতে। একদিকে বিধাননগর পুরসভা আর একদিকে কলকাতা পুরসভা ডেঙ্গি মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কিন্তু মানুষ সচেতন না হওয়ায় জমা জল রয়ে যাচ্ছে। আর তা থেকেই ডেঙ্গির লার্ভার সৃষ্টি। আর সেই মশা কামড়ালে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ভুগতে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের অফিস হওয়া সত্ত্বেও কেন পরিষ্কার হয় না? উঠছে প্রশ্ন।
আর কী জানা যাচ্ছে? বিধাননগর পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪৩। গ্রামীণ এলাকার মধ্যে আমডাঙা ব্লকে ৩৭৩ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত কয়েক সপ্তাহে এখানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে বনগাঁ ব্লকে। এখন সেখানে ৩০৭ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাছাড়া সিজিও কমপ্লেক্সে রয়েছে ইডি–সিবিআই অফিস। যে অফিস থেকে এখন লাগাতার তদন্ত চলছে। একের পর এক হেভিওয়েট ব্যক্তিকে ডেকে এখানে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ অফিসে ডেঙ্গির লার্ভা? উঠছে প্রশ্ন।