সপ্তাহখানেক আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের আবাসিকদের অনেকেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এরপরেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর পরিষ্কার রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এবার বৃহস্পতিবার নিজেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। সেখানে ডেঙ্গি মশার লার্ভা মিলেছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় নোংরা, আবর্জনা দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ডেপুটি মেয়র। তিনি অবিলম্বে আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গিতে যাদবপুরের ছাত্রের মৃত্যুর পর পুরসভা-ইউনিভার্সিটির মধ্যে দায় ঠেলার পালা চালু
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। তাঁর সঙ্গে এদিন বাদানুবাদে জড়ান ডেপুটি মেয়র। ডেঙ্গি সতর্কতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখেন ডেপুটি মেয়র। তারপরেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।রেজিস্ট্রার জানান, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জঞ্জাল পরিষ্কারের জন্য পুরসভাকে ইমেল করা হয়েছে। কিন্তু, তারপরে পরিষ্কার করা হয়নি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়েছে বলে জানান স্নেহমঞ্জু বসু। তখন ডেপুটি মেয়র বলেন, ‘ম্যাডাম এখন ঘরে বা অফিসে বসে বা ইমেল করে কাজ চলবে না। মাঠে নেমে সকলকেই কাজ করতে হবে। আপনাদের যে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট টিম রয়েছে সেই টিমকে কাজে লাগান। পুরসভার টিমও আসবে। এটার জন্য জেসিবি লাগবে না।’ এ বিষয়ে পুরসভার কর্মীদেরও নির্দেশ দেন অতীন ঘোষ।আজকের মধ্যেই আবর্জনা পরিষ্কার করার নির্দেশ দেন তিনি।
একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে অতীন ঘোষ বলেন, ‘এগুলি নিয়মিত নজরদারি রাখতে হবে। আমরা আসছি কাজটা হচ্ছে। আর আমরা না আসলে কাজ হচ্ছে না। আপনাদের যে লোক রয়েছে তারা কী কাজ করছে?’ তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অতীন ঘোষ। যদিও রেজিস্ট্রার জানান, ‘আমরা নিয়মিত পরিষ্কারের কাজ করছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ছাত্ররা ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে।’ উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ছে ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে। ইতিমধ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। তাছাড়া এই এলাকাতে বহু মানুষও আক্রান্ত হয়েছেন । জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত এই এলাকায় ৭৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর।