তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে ফাটল ধরে যাচ্ছে, তাহলে বৌবাজারে ফাটল ধরবে না? এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণে বৌবাজারে বিপত্তি হয়েছে।
শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় দিলীপ বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির মধ্যে ফাটল (সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস রায় পর্বের দিকে ইঙ্গিত) ধরে যাচ্ছে, আর বৌবাজারে ফাটল ধরবে না (হাসতে-হাসতে)? কোনও প্ল্যানিং ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইচ্ছা মতো মেট্রোকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন। যে আসল ম্যাপ (রুট) ছিল, সেটা বাদ দিয়ে রাজনীতির স্বার্থে ঘুরিয়েছেন বলে আজ এই দুর্দশা। রাজনীতির স্বার্থে ভিসি নিয়োগ করেছেন। সব জায়গায় কাটমানি হয়েছে। তাই সব জায়গায় আজ কোর্ট কানমলা দিচ্ছে। নিজের মতো স্বেচ্ছাচারী মানসিকতার জন্য এইসব সমস্যা তৈরি হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: Bowbazar people on Metro: 'কোথাও যাব না আমরা, এখানেই খাব, এখানেই মরব', দাবি বৌবাজারের বাসিন্দাদের
বৌবাজারে কী হয়েছে?
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জেরে শুক্রবার ভোরে মদন দত্ত লেনের একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা যায়। আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। তাঁরা মেট্রো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। একই সুরে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে নিশানা করেছেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। তিনি বলেন, 'মেট্রো কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত গাফিলতির (ফলে এটা হয়েছে)। এটা নিয়ে তৃতীয়বার (এরকম ঘটনা) হল। ২০১৯ সালে হয়েছিল। ১১ মে হয়েছিল। ফের আজ ভোররাতে হয়েছে।’
২০১৯ সালের ৩১ অগস্ট বৌবাজারের স্যাঁকরাপাড়া লেন এবং দুর্গা পিতুরি লেনের একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরা হয়েছিল। তারপর ফের দুর্গা পিতুরি লেনের ফাটল দেখা গিয়েছিল একাধিক বাড়িতে। সেই পরিস্থিতিতে আইআইটির বিশেষজ্ঞরা সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও ফের মেট্রোর কাজের সময় দুর্গা পিতুরি লেনের পাশে মদন দত্ত লেনের একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।