দ্বিতীয় দফায় রাজ্য সভাপতি হয়েই ফের ফর্মে দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার হাওড়ায় দলের অভিনন্দন যাত্রা শেষে এক সভায় বাছা বাছা বিশেষণে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সঙ্গে দিলীপবাবুর হুঙ্কার ২০২৪ পর্যন্ত তৃণমূল দলটা টিকলে দিল্লিতে দিদিমণির প্রতিনিধিত্ব করার লোক থাকবে না।
গত রবিবার নদিয়ায় যেখানে শেষ করেছিলেন, এদিন যেন সেখান থেকেই শুরু করেন দিলীপবাবু। আর এদিন তাঁর আক্রমণের কেন্দ্রে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বামপন্থীরা।
জনতাকে সাবধান করে এদিন তিনি বলেন, ‘হাওড়ায় অনেক ব্যবসায়ী আছেন। তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই। জিএসটির বিরোধিতা করে দিদিমণি আপনাদের রেজিস্ট্রেশন না করার কথা বলেছিলেন। সেই কথায় অনেকে তখন জিএসটিতে নথিভুক্ত করেননি। পরে উনি বিধানসভায় ঠিক জিএসটি পাশ করিয়ে নিয়েছেন। আর রেজিস্ট্রেশনে দেরি হওয়ায় ফাইন দিতে হয়েছে আপনাদের।’
এর পরই দিলীপবাবু বলেন, ‘লোকে বুঝেছে, শালা খুব বোকা বনেছি। তাই এবার আর বোকা বনবেন না। মোদীজি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে নাগরিকত্ব গ্রহণের জন্য সময় দেবেন। তখন ফর্ম ফিল আপ করবেন। ওই ফরমে যে তথ্য দেবেন তাই সত্যি বলে গ্রহণ করা হবে। সঙ্গে কোনও নথি জমা দিতে হবে না। দিদিমণি বলে বেড়াচ্ছেন বাবা মায়ের জন্মের কাগজ লাগবে। এসব কথায় কান দেবেন না।’
এর পরই দিলীপবাবুর কটাক্ষ, ‘আমাদের বাপ-মায়ের ঠিক আছে। তাই আমাদের ওসব নিয়ে ভাবার দরকার নেই। যাদের বাপ-মায়ের ঠিক নেই তারা ওসব নিয়ে ভাবুক। তারা আগে নিজেদের বাপ-মা ঠিক করুক।’
বলে রাখি, গত রবিবার নদিয়ায় এক জনসভায় দিলীপবাবুর মন্তব্য নিয়ে বিবাদ বাঁধে। সেই সভায় CAA-এর বিরোধিতার নামে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে গুলি করে মারার নিদান দিয়েছিলেন তিনি। এদিন তা নিয়েও বাম-কংগ্রেস ও তৃণমূলকে এক বন্ধনীতে রেখে আক্রমণ শানান দিলীপ।