রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কখনও ক্যাগ রিপোর্টকে মিথ্য়ে বলে উড়িয়ে দিলেন। কখনও আবার ধর্মের নামে রাজনীতির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ইন্ডিয়া জোটের শরিক হয়েও তৃণমূল নেত্রী শুক্রবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একেবারে খড়্গহস্ত হন।
মমতা বলেন, ও করবে হিন্দু আর ও করবে মুসলিম। আর আমরা হিন্দু মুসলিম শিখ খ্রীষ্টান হয়েও আমরা সব বাদ। এটা হতে পারে না। দেখুন লড়তে যদি কেউ পারে সেটা বাংলা পারে। কংগ্রেসকে নিশানা করে তিনি বলেন, ৪০টা সিট তুমি পাবে কি না জানি না। আজ তোমার এত অহঙ্কার।…আমরা ২টো দিতে চেয়েছিলাম। ৪২টাই নিয়ে নাও…রিজেক্টেড। তারপর থেকে আমার সঙ্গে আর কোনও কথা হয়নি। বাংলায় প্রোগ্রাম করতে এসেছে। আমরা নাকি ইন্ডিয়ান অ্য়ালায়েন্স। একবার তো তথ্য় দেবে। অমুক দিন থেকে বাংলায় প্রোগ্রাম করতে যাচ্ছি। আর তো কিছু চাই না। আমায় তো কেউ বলেনি। আমি প্রশাসন থেকে শুনেছি। ডেরেককে কে কখনও ফোন করে। বলে গাড়িটা পাস করিয়ে দাও…আমায় একবারের জন্যও জানায়নি। বুকের পাটা থাকলে দেখতাম রাজস্থানে গিয়ে হারিয়ে এস, উত্তরপ্রদেশে গিয়ে হারিয়ে এস। মণিপুরে যখন অশান্তি তখন কোথায় ছিলে? আমরাই টিম পাঠিয়েছিলাম।
সেই সঙ্গেই তৃণমূল নেত্রীর সংযোজন, চা বানাতে জানেই না, বাচ্চাকে আদর করেইনি। শিশু মন কি জিনিস বোঝেই না। বিড়ি বাঁধতে জানেই না কোনওদিনও। বিড়ির বদলে অন্য় কিছু হয়তো খায়। খেতেই পারে। আমাদের গ্রামের লোকেরা অনেক সময় বিড়ি খায়। এটা নিয়ে কিছু বলছি না। বাবা..বসন্তের কোকিলরা চলে এসেছে। তবে বক্তব্যে তিনি সরাসরি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নাম উল্লেখ করেননি। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় বাংলায় এসেছিলেন রাহুল গান্ধী। মুর্শিদাবাদে গিয়ে তিনি বিড়ি শ্রমিকদের সঙ্গে বসেছিলেন। তবে কি এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নিশানায় এবার রাহুল গান্ধী?