দু’দিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, তল্লাশির নামে বিস্ফোরক রেখে যাবে না তার নিশ্চয়তা কী? সেই মন্তব্য নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই ইডির বিরুদ্ধে কম্পিউটারে অজানা ফাইল ডাউনলোড করে রেখা যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করলেন ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার এক কর্মী। শুক্রবার লালবাজারে সাইবার ক্রাইম থানায় করা ওই অভিযোগে তিনি দাবি করেছেন, ১৬টি অচেনা ফাইল ডাউনলোড করে রেখে গিয়েছেন ইডির গোয়েন্দারা।
গত সোমবার লিপস অ্যান্ড বাউন্ডেসের নিউ আলিপুরের দফতরে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় ইডি। ওই সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চলে তল্লাশি। তল্লাশি করে বেরনোর সময় বিপুল পরিমাণ নথি ও হার্ড ডিস্ক নিয়ে যান গোয়েন্দারা।
লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কর্মী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার অভিযোগ করেছেন, ইডির আধিকারিকরা সংস্থার কম্পিউটারে অজানা ফাইল ডাউনলোড করেছেন। তাঁরা চলে যাওয়ার পরে ১৬টি এক্সেল ফাইল কম্পিউটারে পাওয়া গিয়েছে যা আগে ছিল না।
বলে রাখি মঙ্গলবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘এটাও তো হতে পারে আমরা যদি কাল্পনিকভাবে ধরে নিই। আমার বাড়িতে গেল আমাকে জানাল না। আমার তো একটা সিকিওরিটির প্রবলেম আছে। সিকিওরিটির প্রবলেম যে কারও আছে। তুমি যে একটা এক্সপ্লোসিভ রেখে যাচ্ছ না কে তার গ্যারান্টি হবে? তুমি নিজে ঢুকছো, নিজে করছো। তুমি যে লুকিয়ে একটা বন্দুক রেখে যাচ্ছ না কে গ্যারান্টি নেবে? তুমি যে কয়েক কোটি টাকা নিজে বাক্সে করে নিয়ে ঢুকছো না…. জানাবার কোনও জায়গা নেই। যা ইচ্ছে তাই করব। অর্থাৎ এটা আইনি নয়’। সেই মন্তব্যের তেরাত্তির কাটতে না কাটতে ইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ল লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের তরফে।