হস্টেল খোলাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল ছাত্র আন্দোলন। এমনকী রাতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে থেকে সেই আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের। এবার সেই পড়ুয়াদের জন্য অবিলম্বে হস্টেল খোলার নির্দেশ দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই বিষয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর বলে খবর।
জানা গিয়েছে, প্রায় একমাস হস্টেল খোলা নিয়ে আন্দোলন করেছেন পড়ুয়ারা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, হিন্দু হস্টেল ‘দখল’ করে নেন আবাসিকেরা। তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য টেলিফোনে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে। তখন শিক্ষামন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন বলে কথা দেন। তারপরই এই নির্দেশ আসে তাঁর পক্ষ থেকে।
উপাচার্য–শিক্ষামন্ত্রীর কী কথা হয়? সূত্রের খবর, উপাচার্য সরাসরি শিক্ষামন্ত্রীকে জানান, হস্টেলের সুপার এবং সহ–সুপার পদের জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছে। শিক্ষকরা পড়ুয়াদের আচরণ দেখে আর এই দায়িত্ব নিতে আগ্রহী হচ্ছেন না। হস্টেলের যেখানে মেরামত বাকি সেখানে সারানোর দাবি করছেন ছাত্ররা। যা দ্রুত করা সম্ভব নয়।
এইসব শুনে শিক্ষামন্ত্রী দ্রুত হস্টেল খোলার নির্দেশ দেন বলে খবর। কিন্তু এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি পড়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও ছাত্র আবাসিকরা হিন্দু হস্টেলেই আছেন। এই আবাসিকরা অবশ্য বাইরে থেকে খাবার কিনে খাচ্ছেন। যদিও সল্টলেকে থাকা ছাত্রীদের হস্টেল এখনও খোলেনি। আবাসিকরা আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, সোমবার কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী না হলে তাঁরা হস্টেলের দখল নেবেন।