ভবানীপুরের খালসা হাই স্কুলের ভোটকেন্দ্রে চরম উত্তেজনা। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, এক যুবক কোনও রকম পরিচয়পত্র বা বৈধ নথি ছাড়াই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ঢুকে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরে ফেলা হয় বলে জানানো হয় গেরুয়া শিবিরের তরফে। অভিযোগ করা হয়, তৃণমূল সেই ভুয়ো ভোটারকে পাঠিয়েছে। যদিও তৃণমূলের তরফে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় তৃণমূল পালটা অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপির দিকে। ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ, বিজেপি অকারণে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। তৃণমূলের দাবি, অভিযুক্ত যুবকের কাছে বৈধ নথি ছিল। তারপরও ইচ্ছা করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতেই এই ঘটনা ঘটায় বিজেপি।
এদিকে রমেশ মিত্র স্কুল এবং ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটির বুথেও ব্যাপক রিগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ পেয়ে রিপোর্ট তলব কমিশনের। প্রিসাইডিং অফিসারকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ। ভবানীপুর কেন্দ্রের ২৩টি বুথ থেকে কমিশন ৪১টি অভিযোগ পেয়েছে।
এদিকে এদিন রাজ্যের নেতা ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভবানীপুরে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে। দুই নেতার দুই টুইট ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। টুইটে তাঁরা মমতাকে ভোট দেওয়ার আবেদন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এর জেরে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। বিজেপি প্রশ্ন করে, ভোট চলাকালীন এই কাজ কী করে করা যায়। পাশাপাশি ভোট চলা পর্যন্ত পর্যন্ত দুই জনকে নজরবন্দি করার দাবি তোলে গেরুয়া শিবির।