করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরের রোগ নির্ণায়ক ময়নাতদন্ত দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছিল আরজিকর হাসপাতালে। এবার ওমিক্রন সন্দেহে মৃত এক ব্যক্তির রোগ নির্ণায়ক ময়নাতদন্তও দেশের মধ্যে প্রথম করতে চলেছে আরজিকর হাসপাতাল। গতকাল শুক্রবার মৃত্যু হয়েছে কলকাতার কাঁকুড়গাছি বাসিন্দা নির্মলচন্দ্র দাসের। ওমিক্রন সন্দেহে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার শেষ ইচ্ছামতোই তার দেহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য দান করেছেন পরিবারের সদস্যরা। ওমিক্রনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্ত করে জানা যাবে বলে হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
নির্মল চন্দ্র গত ২০ জানুয়ারি থেকে তিনি চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গতকাল শুক্রবার তিনি মারা যান। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে ওমিক্রন সন্দেহ করা হলেও তা ধরা পড়েনি। তার মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা মরণোত্তর দেহদানের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা গণদর্পণের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রসঙ্গত, মরণোত্তর দেহদান আন্দোলনের পথিকৃৎ ব্রজ রায়ের মৃত্যু হয়েছিল গত বছর। করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গিয়েছিলেন। এরপর তার দেহ দান করা হয়। আরজিকর হাসপাতালে তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।
নির্মল চন্দ্র দাসের দেহদান প্রসঙ্গে আরজিকর হাসপাতালের চিকিৎসক সোমনাথ দাস জানান, 'নির্মল চন্দ্র দাসের ময়নাতদন্ত করলে জানা যাবে তিনি ঠিক কী কারণে মারা গিয়েছেন। যদি ওমিক্রনের কারণে মৃত্যু হয় তাও জানা যাবে। শরীরের কোনও অঙ্গে সন্দেহভাজন ওমিক্রন আঘাত হেনেছিল সে বিষয়টিও স্পষ্ট হবে।' তবে করোনার পর ওমিক্রনের রোগ নির্ণায়ক ময়নাতদন্ত আরজিকর হাসপাতালে হলে তা ইতিহাস তৈরি করে বলে জানাচ্ছে ওই সংস্থা।