যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যপালের দিকেই আঙুল তুললেন শিক্ষমন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মঙ্গলবার বিধানসভায় এ নিয়ে বলতে ওঠে ক্যাম্পাসে নেশা করা প্রসঙ্গে ব্রাত্য বলেন, এটা দেখার দায় নারকোটিক্স ব্যুরোর।
এদিন ছাত্র মৃত্যু ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে উপাচার্য নিয়োগ প্রসঙ্গ তুলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যপাল নির্দেশিকা পাঠাতে পারেন। তা কার্যকর দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। তিনি যখন তখন উপাচার্যকে সরিয়ে দিচ্ছেন। তার মধ্যেই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা।’ এই ঘটনার জন্য রাজ্যপালকে একশ শতাংশ দায়ী করেন ব্রাত্য বসু।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন,'বিধায়ক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের ৫ জন ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেছি। সমবেদনা জানিয়েছি। কিন্তু যে ক্ষতি তাকে তো ফিরিয়ে দিতে পারব না।'
রাজ্যের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'আমরা কী ব্যবস্থা নিচ্ছি, জানতে চাইছেন। সুপ্রিম কোর্ট ২০০৯ সালে যে রায় দিয়েছে, তার আগে ২০০২ সালে হিমাচলের একটি ডাক্তারি ছেলেকে র্যাগিং করতে গিয়ে মেরে ফেলা হয়। রঘবন কমিটি তৈরি হয়। সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কিছু সুপারিশ করে। আমাদের রাজ্যে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই নির্দেশিকা পাঠাই। ২০২৩ সালেও পাঠাই। কিন্তু সেই নির্দেশিকার পরও দেশের নানা জায়গায় এই র্যাগিংয়ের ঘটনা অব্যাহত থেকেছে।'
ঘটনার জন্য রাজ্যপালের দিকে আঙুল তুললেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য হতবাক। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক পাচারচক্রের অবাধ বিচরণ ছিল। টিঁল ছোড়া দূরত্বে পুলিশ থাকলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। র্যাগিং হতো। সিনিয়াররা হস্চেল দখল করে রাখত। এই ঘটনা সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থার পক্ষে হৃদয়বিদারক। ইউজিসি নিয়ম দীর্ঘদিন মানা হয়নি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কিছু নির্দেশিকা দিয়েছিল। সেই নির্দেশিকায় ছিল সিসিটিভি স্থাপন আর পুলিশ কিয়স্ক। প্রধান বিচারপতির নির্দেশ মান্যতা দেওয়া হয়নি। তাহলে ১৭ বছরের ছেলেটির প্রাণ যেত না। '
বিজেপি তরফে যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানানো হয়। পরে বিজেপি বিধায়করা ওয়াকআউট করেন।