রাজ্যে বহু সরকারি হাসপাতালে খাতায়-কলমে এমন অনেক চিকিৎসক রয়েছেন যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে গড়হাজির। তাঁদের বেতন বন্ধ হয়ে গেলেও এখনও খাতায় কলমে নাম এখনও রয়ে গিয়েছে। রাজ্য জুড়ে হাসপাতালগুকিতে এরকম চিকিৎসকের সংখ্যা কমপক্ষে ২৫২ জন। কেন এই সমস্ত চিকিৎসকরা গড়হাজির? তা জানতে চেয়ে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে স্বাস্থ্যভবনে শুনানি হবে। চিকিৎসকদের কাছে এনিয়ে হলফনামা চাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, গত সোমবার এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তাতে গড়হাজির থাকা চিকিৎসকদের আগামী ১ ফেব্রুয়ারিতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একাংশের মতে, যে সমস্ত চিকিৎসকরা অনুপস্থিত রয়েছেন তাঁদের একটা বড় অংশ সরকারি হাসপাতালের পরিবর্তে বেসরকারি বা প্রাইভেট হাসপাতালে চাকরি করছেন, আবার কেউ কেউ প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছেন। এরকম অনেক চিকিৎসকই রয়েছেন যাঁরা সরকারি চাকরি ছাড়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু, সেই আবেদন মঞ্জুর এখনও করা হয়নি। যদিও তাঁদের বেতন বন্ধ রয়েছে। তবে অর্থ দফতরের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের পোর্টালে তাদের নাম এখনও রয়ে গিয়েছে।
এই অবস্থায় এই সমস্ত চিকিৎসকরা সরকারি হাসপাতালে কাজ না করার ফলে কতটা শূন্যপদ রয়েছে তা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। তাই ওই সমস্ত চিকিৎসকদের কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হবে আগামী ফেব্রুয়ারির শুনানিতে। তবে এ বিষয়ে চিকিৎসকদের সংগঠনগুলি চাকরিতে এবং পদোন্নতিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন। তাছাড়া, সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তাহীনতার প্রসঙ্গ এনেছেন তাঁরা। এই সমস্ত কারণে বাধ্য হয়ে চিকিৎসকরা সরকারি চাকরি ছাড়ছেন বলে তাঁরা অভিযোগ তুলেছেন।