একে বন্ধ লোকাল ট্রেন। তার ওপরে মোক্ষম সময় আকাশভাঙা বৃষ্টি নামে দক্ষিণবঙ্গজুড়ে। দুই বিভ্রাটে মঙ্গলবার JEE Main পরীক্ষা দিতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে নাজেহাল হতে হল অনেক পরীক্ষার্থীকেই। সমস্যা হলেও পরীক্ষা হওয়া উচিত বলে সমস্বরে জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা।
JEE Main পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে মঙ্গলবার বাড়তি বাস চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সরকারি বাসের পাশাপাশি পথে নামার কথা ছিল অতিরিক্ত বেসরকারি বাসেরও। কিন্তু তাতেও অনেকের ভোগান্তি কমেনি। শনিবার সকাল ৮টার মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার ঠিক আগে ঝেঁপে বৃষ্টি নামে দক্ষিণবঙ্গজুড়ে। যাতে বহু পরীক্ষার্থীর বাস পেতে সমস্যা হয়েছ। অনেককে বাস বদলে বদলে পৌঁছতে হয়েছে পরীক্ষাকেন্দ্রে।
এদিন কলকাতা লাগোয়া বিধাননগরের সেক্টর ফাইভে টিসিএস গীতাঞ্জলিতে পরীক্ষার অয়োজন হয়েছিল। অনেক পরীক্ষার্থীই জানিয়েছেন, সেখানে পৌঁছতে তাঁদের সমস্যা হয়েছে। তবে গণপরিবহণের ওপর ভরসা না করে অধিকাংশ পরীক্ষার্থীই ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবস্থা করে পরীক্ষা দিতে এসেছেন।
এদিন থার্মাল চেকিংয়ের পর পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয় পরীক্ষার্থীদের। প্রত্যেকের মুখে ছিল মাস্ক। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের প্রতিটি বিধি পালন করা হয়েছে। একটি ঘরে সর্বোচ্চ ১২ জনের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে JEE Main ও NEET পরীক্ষা আয়োজনের বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, এভাবে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের। কিন্তু এদিন এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে সব দায়িত্ব দিয়েছে। আর কিছু বলার থাকতে পারে না।’
এদিন বেলা ১২টা পর্যন্ত হয় পরীক্ষা। পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে আর কোনও বিভ্রাটের খবর নেই।