রাজের উচ্চশিক্ষা দফতর স্নাতক স্তরে কলেজে অনলাইনে ভর্তির আবেদনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল ৫ অগস্ট পর্যন্ত। সেইসঙ্গে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভর্তির পুরো প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু, বহু কলেজের আসন ফাঁকা থাকায় ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয় ভর্তির সময়সীমা। তারপরেও এখনও শহরের বেশ কয়েকটি কলেজে বেশকিছু আসন ফাঁকা রয়েছে। আসন ফাঁকা হওয়ার অন্যতম কারণ হল কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্টের (সিইউইটি) পরে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিলের জন্য আবেদন করেছে।
শহরের নামকরা কলেজগুলির মধ্যে মৌলানা আজাদ কলেজে মোট ১,০৩২ টির মধ্যে ১০০ টিরও বেশি আসন ফাঁকা রয়েছে। স্কটিশ চার্চে ১৭৪ টি আসন এখনও পূরণ হয়নি, বেথুন কলেজের ১৪০টি আসন ফাঁকা আছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৌলানা আজাদ কলেজের একজন অধ্যাপক বলেছেন, এখনও বহু পড়ুয়া ভর্তি বাতিল করছে। ফলে শূন্যপদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কলেজের অধ্যক্ষদের মতে, শূন্যপদের প্রকৃত সংখ্যা প্রাথমিক অনুমানের চেয়ে বেশি হতে পারে। কারণ যারা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অন্য কলেজে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন তাদের ভর্তি বাতিল করতে হয়েছিল। কিন্তু যারা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হয়েছিল তারা কর্তৃপক্ষকে এখনও বিষয়টি জানায়নি। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হলেই প্রকৃত সংখ্যা জানা যাবে বলে তারা জানান।
লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের অধ্যক্ষ শিউলি সরকার বলেন, ‘পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, ফারসি এবং সংস্কৃতের মতো বিভাগে এখনও অনেক আসন ফাঁকা আছে। কিছু পড়ুয়া এখনও ক্লাসে আসেনি। আমাদের ধারণা যে তারা আমাদের না জানিয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে।’ যেহেতু ইতিমধ্যেই প্রথম বর্ষের পঠন পাঠন শুরু হয়েছে তাই কলেজ কর্তৃপক্ষ এই আসনগুলি পূরণের বিষয়ে আশাবাদী নন।