বিগত প্রায় একমাস ধরে কর্ণাটকে হিজাব বিতর্ক চলছে। কলেজে হিজাব পরে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছে কর্ণাটকের একাধিক শিক্ষাঙ্গন। সেই উত্তাপ অবশ্য কর্ণাটকের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়ে পৌঁছেছে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো ভিনরাজ্যে। রাজনৈতিক দলের নেতারা দিল্লি থেকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে টুইট করছেন। আর এবার এই বিতর্কের আঁচ এসে লাগল তিলোত্তমার গায়ে। বুধবার শহরের আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদে হিজাব পরার সমর্থনে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়।
আলিয়া ইউনিভার্সিটি মুসলিম স্টুডেন্টস ফেডারেশনের সদস্যরা বুধবার হিজাব বিতর্কে কর্ণাটকের মুসলিম পড়ুযাদের সমর্থনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এদিন প্রতিবাদী ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে থাকা ব্যানার, প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘হিজাব আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার।’ আরও লেখা ছিল, ‘যারা আল্লাহকে ভয় পায়, তারা অন্য কাউকে ভয় পায় না।’
উল্লেখ্য, হিজাব পরিহিত কিছু মুসলিম মেয়েকে উদুপির একটি সরকারি কলেজে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল গত ডিসেম্বরে। এরপর থেকে পরপর কলেজে নিষিদ্ধ হয়েছে হিজাব। এই আবহে বিতর্কে জল ঢালতে নির্দেশিকা জারি করে কর্ণাটক সরকার। সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রি ইউনির্ভাসিটির আওতায় যে সরকারি কলেজগুলি রয়েছে সেখানে কলেজ ডেভেলপমেন্ট বোর্ড যে পোশাক নির্দিষ্ট করেছে সেটাই থাকবে। আর যেখানে এই পোশাক বিধি বলে কিছু নেই, সেখানে পড়ুয়ারা এমন পোশাক পরতে পারেন যাতে করে সম্প্রীতি, সমতা ও আইন শৃঙ্খলা বজায় থাকে। তবে এই নির্দেশের পরও বিতর্ক থামেনি। মামলা গড়ায় আদালতে। শান্তি বজায় রাখতে স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই।