নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের মাত্র তিনজন মেধাতালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। কার্যত ২৭২জন কৃতীদের ভিড়ে থই পেল না রামকৃষ্ণ মিশনের মতো নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু রাজ্যের একাধিক অনামী স্কুলের ফলাফল একেবারে নজরকাড়া। শুধু সেটাই নয়, একেকটি স্কুলে কৃতীদের একেবারে গাদাগাদি ভিড়।
এই যেমন পশ্চিম মেদিনীপুরের নটেশ্বরী নেতাজি বিদ্যায়তনের প্রথম দশে ২২জন ঠাঁই পেয়েছে। এতটা ভালো রেজাল্ট হবে তা স্বপ্নেও ভাবেননি অনেকে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক তরুণ কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রথম দশের মধ্যে আমাদের স্কুলের ২২ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা ভালো ফল করবে ভেবেছিলাম। কিন্তু এভাবে ভরিয়ে দেবে সত্যিই ভাবতে পারিনি।
আবার দিনহাটার সোনিদেবী জৈন হাইস্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে অদিশা দেবশর্মা। সে ৯৯.৬৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। আবার সেই স্কুল থেকেই মেধাতালিকায় ১০জন পড়ুয়া।
আবার সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দির থেকে ৯জন পড়ুয়া মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছে। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন এর পেছনে রহস্যটা ঠিক কী? নরেন্দ্রপুরের প্রধানশিক্ষক মহারাজ জানিয়েছেন, এবার হোম সেন্টারে পরীক্ষা হয়েছিল। তাঁদের স্কুল পড়ুয়ারা সততার সঙ্গে পরীক্ষা দিয়েছে।
আর এখানেই প্রশ্ন হোম সেন্টারেই কি লুকিয়ে রয়েছে রহস্যের চাবিকাঠি? হোম সেন্টারে কি বাড়তি সুবিধা পেয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীরা? যার জেরে একেবারে দলে দলে কার্যত মিছিল করে ঢুকে পড়েছেন মেধা তালিকায়।
তবে শিক্ষকদের একাংশ অবশ্য রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী ছাত্রছাত্রীদের মেধাকে একেবারেই খাটো করে দেখতে রাজি নন। তারা অসৎ উপায় অবলম্বন করে মেধা তালিকায় ঢুকে পড়েছেন এমনটাও সরাসরি মানতে চাইছেন না তাঁরা। তবুও মেধাতালিকা দেখে বুকের মধ্যে একটা সংশয়ের কাঁটা খিচখিচ করছে অনেকেরই।