ভিনরাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে আসা শ্রমিকদের নিয়ে কী কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে তার রূপরেখা বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ে এব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘সব্বাইকে ইন্সটিটিউটশনাল কোয়ারেন্টাইনে রাখতে পারব না। ৫ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যে এসে পড়েছে।’
মুখ্যমন্ত্রী জানান, মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ, গুজরাত, দিল্লি ও তামিলনাড়ু থেকে যাঁরা ফিরবেন তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন থাকতে হবে সরকারি কোয়ারেন্টাইনে। বাকি রাজ্য থেকে যারা আসবেন তাদের মধ্যে কোনও উপসর্গ না থাকলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বাড়িতে। সেখানে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাদের। আর যাদের পজিটিভ ধরা পড়বে তাদের পাঠানো হবে হাসপাতালে।
সরকারি কোয়ারেন্টাইনে যারা থাকবেন, তাদের ১৪ দিন পর করোনা পরীক্ষা হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে যেতে দেওয়া হবে বাড়ি। পজিটিভ এলে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবে জেলা প্রশাসন।
কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের খাওয়া দাওয়া নিয়েও এদিন জানান মমতা। বলেন, ভাল খাবার দিতে পারব না। দুবেলা ভাত-ডাল-তরকারি মিলবে। তবে কেউ যদি বাড়ির খাবার খেতে চায় তার অনুমতি দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সামনে রাখা থাকবে টেবিল। সেখানে খাবার রেখে যেতে পারবেন বাড়ির লোকেরা। তবে বাড়ির লোকের সঙ্গে মেলামেশা করার অনুমতি মিলবে না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের ওপর নজরদারির জন্য প্রতিটি ব্লকে টাস্ক ফোর্স তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, জেলায় জেলাশাসক ও ব্লকে বিডিওর নেতৃত্বে তৈরি হবে দল। তাতে থাকবেন স্থানীয় থানাগুলির আইসি, BMOH, জেলা পরিষদের সদস্য ও বিধায়ক। তারাই ভিনরাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকরা সঠিকভাবে কোয়ারেন্টাইন করছেন কি না তার ওপর নজর রাখছেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে ৩২টি শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন। যার মধ্যে একটা বড় সংখ্যায় ট্রেন আসছে মহারাষ্ট্র থেকে।