প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বৃহস্পতিবার সেই ঘটনার সাক্ষী থাকতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। এমনই দাবি করা হচ্ছে একাধিক মহলের তরফে। ওই মহলের দাবি, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভায় গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, তাঁকে লোকসভা নির্বাচনে টিকিটও দেওয়া হতে পারে। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক কেন্দ্র থেকে তিনি দাঁড়াতে পারেন। যা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলার লোকসভা কেন্দ্র। গতবার ওই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। বিজেপির তরফে অবশ্য কোনও মন্তব্য করা হয়নি। শুভেন্দু নিজে বলেছেন, ‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রাজনীতিতে যোগ দিলে প্রতিক্রিয়া দেব।’
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ও সেরকম কিছু জানাননি। সাত মার্চ কিছু হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রবিবার বিকেলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'আগে পাঁচ তারিখ আসুক। পাঁচ তারিখ আসার পরে সাত তারিখ আসবে। তখন আবার সব জানতে পারবেন।' আর পাঁচ তারিখ কী হবে, সেটাও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মঙ্গলবার পদত্যাগ দেবেন। নিজের ইস্তফাপত্র ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে পাঠিয়ে দেবেন। তারপর মঙ্গলবার দুপুর ১ টা ৩০ মিনিট সূর্য সেনের মূর্তির পাদদেশে দাঁড়িয়ে নিজের পরবর্তী পদক্ষেপ জানাবেন বলে দাবি করছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যয়ের ‘বৃহত্তর’ পদক্ষেপ
আর পরবর্তী পদক্ষেপ যে ‘বৃহত্তর’ হতে চলেছে, সেটা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই জানিয়েছেন। এবিপি আনন্দের সাক্ষাৎকারে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে রাজনীতিতে যোগ দিতে চলেছেন। তবে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে যে তিনি যোগ দেবেন না, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিআইএম বা অন্য যে কোনও ছোট দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা জিইয়ে দিয়েছেন।
তিনি যে ‘বৃহত্তর’ পদক্ষেপ করতে চলেছেন, সেটার জন্য রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ওই সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন যে রাজ্যের ‘ক্ষমতাসীন দলের’ তরফে তাঁকে বারবার ময়দানে নামার চ্যালেঞ্জ ছোড়া হত। তাঁকে বিদ্রুপ করা হয়েছে। তাঁকে আক্রমণ করা হয়েছে এবং তাঁর নামে অপমানজনক মন্তব্য করা হয়েছে বলেও দাবি করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘তাঁদের (তৃণমূলের নেতারা) ইচ্ছাটা পূর্ণ হওয়ার দরকার।’
আরও পড়ুন: ‘চৌর্য সাম্রাজ্য,’ভোটের লড়াইয়ে নামার আগেই ‘শত্রু’ চিহ্নিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের