দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটে স্কাইওয়াক তৈরির ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। সেই মতোই স্কাইওয়াক তৈরির কাজ চলছে কালীঘাটে। এখানে ব্রিটিশ আমলের ব্রিক সুয়ারেজ এবং ইঁটের নিকাশি নালা রয়েছে। তাই সর্তকতা অবলম্বন করে কাজ সম্পন্ন করতে চাইছে নির্মাণকারী সংস্থা। তবে বউবাজারে মেট্রোর কাজের ফলে যেভাবে বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে কালীঘাটে না হয় তা নিয়ে নির্মাণকারী সংস্থাকে সতর্ক করল কলকাতা পুরসভা।
গতকাল এনিয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার, রাজবাড়ীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার এবং অন্যান্য কাউন্সিলর ও পুর ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে সর্তকতা অবলম্বন করে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, কলকাতা পুরসভার বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে যাতে কাজ শেষ হয় সে বিষয়টির দিকে নজর রাখছে নির্মাণকারী সংস্থা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘যেখানে কালীঘাট স্কাইওয়াকের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর তৈরি হচ্ছে সেখানে পুরনো ইঁটের তৈরি নাকাশি নালা রয়েছে। এছাড়া পানীয় জলের পাইপ-সহ বেশকিছু পরিকাঠামো আছে। সে সমস্ত বাঁচিয়ে কাজ করার জন্য নির্মাণকারী সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য ১৫ দিন পর পর এ বিষয়ে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তবে শুধু পুরনো ইঁটের তৈরি নাকাশি নালাই নয়, সেখানে বহু পুরনো বাড়িও রয়েছে। বউবাজারে মেট্রো কাজের কম্পনের কারণে বহু পুরনো বাড়িতে ফাটল ধরেছিল। এখন কালীঘাটে পাইলিংয়ের জন্য যাতে বউবাজারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়টির দিকে নজর রাখতে বলেছে পুরসভা। পাইলিং মেশিনের কম্পনের ফলে যাতে বাড়ি এবং নকাশি নালার ক্ষতি না হয় সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ কলকাতা পুরসভা এবং নির্মাণকারী সংস্থার কাছে। সেই কারণে পুরসভার আধিকারিকদের ১৫ দিন পর পর বৈঠকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।