আবার কলকাতা উদ্ধার পাহাড় পরিমাণ টাকা। আর শহর থেকেই এবার উদ্ধার হল ১০ লক্ষ টাকার জাল নোট। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই জালনোট পাচারকারীকে। ধৃতরা অসমের বাসিন্দা বলে খবর। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ মধ্য কলকাতার এলাকা থেকে হাতেনাতে ধরে ফেলে ওই দুই পাচারকারীকে। ময়দান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করল পুলিশ। ৫০০ টাকার দু’হাজারটি জাল নোট পাওয়া গিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে শহরে? এসটিএফ অফিসাররা গোপন সূত্রে খবর পায়, শহরে বিপুল পরিমাণ জাল নোট নিয়ে ঢুকেছে দুই পাচারকারী। শহরের ডাফরিন রোড এবং মেয়ো রোড ক্রসিং থেকে অসমের দুই কুখ্যাত জাল নোটের কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। সন্দেহভাজন ওই দু’জনকে তল্লাশি চালাতেই তাদের থেকে পাওয়া যায় বান্ডিল বান্ডিল জালনোট। সব ৫০০ টাকার জাল নোট। দু’হাজারটি নোট উদ্ধার করেন স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অফিসাররা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মোট ১০ লাখ টাকার জাল নোট। এরপর তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪৮৯বি এবং ৪৮৯সি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার তাদের ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশ করবে পুলিশ।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম আবদুল রেজ্জাক খান এবং শাহের আলি। উভয়েই অসমের বারপেতা জেলার বাসিন্দা। পুলিশের কাছে অসমের এই কুখ্যাত জাল নোট পাচারচক্রের বিষয়ে আগেই খবর ছিল। তাই আগেভাগে প্রস্তুতও ছিলেন স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অফিসাররা। সোমবার দুপুরে গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে ময়দান থানা এলাকায় হানা দেয় পুলিশ। তখন ওই দু’জনকে আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। আজ, মঙ্গলবার জালনোট রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন তদন্ত চলছে।
তারপর ঠিক কী হল? ধৃত ওই দু’জনকে দফায় দফায় জেরা করছে পুলিশ। কী কারণে জাল নোট নিয়ে আসা হচ্ছিল? কোথা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল? কোথায় পাচারের ছক ছিল? এখন এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই জেরা করছেন স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অফিসাররা। এই জাল নোটের কারবারের পিছনেত বড় চক্র জড়িত আছে বলে মনে করছে এসটিএফ। তাই এই চক্রের মাথা কে বা কারা সেটা জানার চেষ্টা করছেন কলকাতা পুলিশের এসটিএফের অফিসাররা।