দু'বছর করোনা পর্বের পর এবার দুর্গা পুজোয় কোনও বিধিনিষেধ থাকছে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শহরতলী তো বটেই, বিভিন্ন জেলা, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি বিদেশ থেকেও থেকে এবার কলকাতায় পুজো দেখতে আসবেন দর্শনার্থীরা। ফলে পুজোর কয়েকটা দিন কলকাতার রাস্তায় ব্যাপক যানজট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুজোর কয়েকটা দিন যানজট নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ।
এবার কলকাতায় দুর্গাপুজোয় ভিড় বাড়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, ‘ইউনেস্কো কলকাতার দুর্গাপূজাকে হেরিটেজ সম্মান দেওয়ায় কলকাতায় দুর্গাপুজোয় এবার ভিড় বাড়বে। দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকে পুজো দেখতে কলকাতায় আসবেন বহু মানুষ। তাই ট্রাফিক পরিষেবাকে অবিচ্ছন্ন রাখতে ট্রাফিক পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’ গত রবিবার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার। বৈঠকে পুজো কমিটিগুলিও যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছে।
আরও পড়ুন: দেবী দুর্গা কন্যারূপেই পূজিতা হন, স্বপ্নাদেশেই জমিদার বাড়ির পুজো শুরু
নিউ আলিপুর পুজো কমিটি, শ্যামবাজার, টালিগঞ্জের পুজো কমিটিগুলি যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, হচ্ছে বেহালা এবং টালিগঞ্জ এলাকাতে যানজট নিয়ন্ত্রণে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই মর্মে দুই এলাকার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করা হয়েছে। কারণ প্রতিবছরই পুজোর সময় এই এলাকাগুলিতে যানজটে নাকাল হতে হয় দর্শনার্থীদের। জানা গিয়েছে, এই অঞ্চলের সখের বাজার, বড়িশা থেকে শুরু করে বেহালা থানা, চৌরাস্তা যানজট নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পাশাপাশি শহরের বড় পুজো সংলগ্ন রাস্তায় যানজট নিয়ন্ত্রণে বাড়তি পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে।
এদিনের বৈঠকে পুলিশ এবং পুজো কমিটি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিএসসি, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, কলকাতা পুরসভা, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবেলা দফতরের আধিকারিকরা। পাশাপাশি পুজোয় শব্দদানবের তাণ্ডব নিয়ন্ত্রণ করা বিশেষ করে জোরে ডিজে বক্স বা সাউন্ড বক্স চালানো যাবে না বলে জানিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। তাছাড়া বিভিন্ন রাস্তা মেরামতির জন্য পুজো কমিটির তরফে পুরসভাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়াও দুর্ঘটনা রুখতে বিভিন্ন জায়গায় দমকলের রাখা হবে বলে আলোচনায় ঠিক হয়েছে।