লকডাউনে স্তব্ধ কলকাতা শহরে অনিশ্চয়তার মধ্যেই পুজোর প্যান্ডেল বাঁধা শুরু করে দিয়েছেন বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি। তবে পুজো শেষ পর্যন্ত হবে কি না এব্যাপারে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি প্রশাসন। এরই মধ্যে প্রশাসনের পাশে থাকার বার্তা দিতে একটি খসড়া প্রস্তাব পাঠাল কলকাতায় পুজো উদ্যোক্তাদের সংগঠন ফোরাম ফল দুর্গাপুজো। তাতে পুজোর শুরু থেকে বিসর্জন পর্যন্ত নানা বিধিনিষেধের উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, মহামারির গ্রাসে যখন শহর তখন পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশ মানছে না সাধারণ মানুষ। আর পুজো কমিটির নির্দেশ মানবে কে?
চলতি মাসেই মুখ্যমন্ত্রীর এক মম্তব্যে বুকে বল পান পুজো উদ্যোক্তারা। পুজো যখন এবছর লাটে উঠবে বলে একপ্রকার ধরেই নেওয়া হয়েছিল তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে পুজো কমিটিগুলিকে বলেন, ‘পুজো করতে হবে তো নাকি! ভাল করে পুজো করতে হলে এখন থেকেই ক্লাবগুলিকে সংক্রমণ রুখতে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এমন আশার বাণী শুনে পরদিনই বৈঠকে বসেন পুজো উদ্যোক্তারা। সাতেরোটি সুরক্ষাবিধির একটি তালিকা তৈরি করেন তাঁরা। সেই তালিকা পাঠানো হয়েছিল প্রশাসনের কাছে। সম্প্রতি আরেকটি বৈঠক করে তাতে আরও কয়েকটি বিধিনিষেধ যোগ করেছেন তাঁরা।
নতুন পরিবর্ধিত তালিকায় জানানো হয়েছে, পুজো কমিটির ভল্যান্টিয়ারদের জন্য PPE-র ব্যবস্থা থাকবে। সঙ্গে থাকবে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। এছাড়া আগের বৈঠকের সমস্ত সিদ্ধান্ত নতুন খসড়ায় যোগ করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, খোলা মণ্ডপ। যাতে প্রতিমা বাইরে থেকেই দেখা যায়। অনাড়ম্বর, ছোট মণ্ডপ ও প্রতিমা। সঙ্গে নিয়মিত স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা।
বিসর্জনের ক্ষেত্রেও আরোপ হয়েছে কিছু বিধিনিষেধ। সিঁদুর খেলা এবার প্রতীকি ভাবে আয়োজন হতে পারে। এড়ানো হবে বিসর্জনের আড়ম্বরও।
নতুন খসড়াও প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের তরফে। এবার দেখার প্রশাসন কী সিদ্ধান্ত নেয়।