প্রথম সন্তান যাতে ছেলে হয়, এমনই ইচ্ছে ছিল ২১ বছর বয়সী লাভলি সিংয়ের। তবে লাভলির ইচ্ছেপূরণ হয়নি। ছেলের বদলে গত ১৯ অক্টোবর লাভলি জন্ম দেয় একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তানের। তা মেনে নিতে পারেননি লাভলি। আর তাই জন্মের একদিনের মাথায় নিজের সন্তানকে খুন করেন লাভলি। ঘটনা জানাজানি হতে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তখন পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে লাভলি নিজের সন্তানকে খুন করার বিষয়টি মেনে নেন। ঘটনা ঘটেছে একবালপুর থানার নেতাজি সুভাষ নার্সিংহোমে।
জানা গিয়েছে, হাসপাতালের বেডেই বালিশ চাপা দিয়ে নিজের কন্যা সন্তানকে খুন করেন মা লাভলি সিং। জানা যায়, গতকাল নার্স লাভলির কেবিনে গিয়ে দেখেন সদ্যোজাত আর নড়াচড়া করছে না। যদিও জন্মের সময় সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল সে। পাশেই শুয়ে থাকা লাভলিকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সে নীরব থাকে। এরপরই হাসপাতালের তরফে খবর পাঠানো হয় পুলিশকে। পরে নিজের অপরাধের কথা নাকি স্বীকার করে নেয় লাভলি। জানান, সে চেয়েছিল যে তার প্রথম সন্তান ছেলে হবে। তা না হওয়ায় এই কীর্তি ঘটিয়েছে সে।
হাসপাতালের চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, সদ্যোজাত কন্যাসন্তানটি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। নার্স কেবিনে এসে শিশুটিকে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে না দেখে চিকিত্সককে ডেকে নিয়ে আসেন। চিকিত্সক পরীক্ষা করে জানান, কন্যাসন্তানটি আর বেঁচে নেই। জানা যায়, ভোর পাঁচটা নাগাদ লাভলির স্বামী চা খেতে বের হন কেবিন থেকে। সেই সময় এই ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শেষ পাওয়া খবর, নার্সিংহোমের কেবিনেই পুলিশি নজরদারিতে রয়েছে লাভলি।