নিত্যদিন পেটের ব্যথায় কাবু হয়ে পড়ছিল কিশোরী। তার উপর আবার পেট ফুলে যাচ্ছিল। ঘরোয়া টোটকায় কোনও কাজ হচ্ছিল না। উলটে পেট ফুলে যাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবারের সদস্যরা চিন্তায় পড়েছেন। এরপর শুরু হল পরীক্ষা। আর জানা যায়, ১৪ বছরের ওই কিশোরী ন’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। চমকে ওঠেন পরিবারের সদস্যরা। তৎক্ষণাৎ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফোন করে বিষয়টি জানায় স্থানীয় কড়েয়া থানায়। পুলিশ তদন্তে নেমে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবকের নাম মহম্মদ আরশাদ। ওই কিশোরীর সঙ্গে যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেটাই নানা সময়ে ঘনিষ্ঠতায় পরিণত হয়। বাড়িতে কেউ না থাকলে ওই যুবক কিশোরীকে ডেকে পাঠাত। আর তারপরই দুপুরবেলায় চলত সহবাস। আর তার জেরেই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। বিষয়টি কেন পরিবারের সদস্যদের নজরে আসেনি সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই যুবক বিহারের বাসিন্দা হলেও আরশাদ তিলজলা এলাকায় থাকে। তাকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। আর ওই কিশোরী এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছে। ওই সদ্যোজাতের ডিএনএ পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই কিশোরীকে ডিসেম্বর মাসেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। ওই কিশোরী পেটের ব্যথায় ভুগছে বলে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসকদের জানান। পেট ফুলে যাচ্ছে দেখে দ্রুত কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখনই দেখা যায়, নাবালিকা ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পুলিশ প্রথমে কিশোরীর সঙ্গে কথা বলেন। তারপরে কড়েয়া মহিলা থানায় পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়। স্কুল পালিয়ে ওই যুবকের সঙ্গে নানা জায়গায় যেত কিশোরী। তবে ইদানিং কোনও যোগাযোগ রাখছিল না ওই যুবক।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের তহবিল তছরুপ ঠেকাতে বড় পদক্ষেপ নবান্নের, তদন্তে পৃথক টিম
আর কী জানা যাচ্ছে? আরশাদ পেশায় গাড়িচালক। ২১ বছর বয়স। তিলজলা এলাকায় বাবা–মায়ের সঙ্গে থাকে। বাড়ি থেকেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতের অনুমতি নিয়ে কিশোরী ও তার সদ্যোজাতকে হোমে রাখা হবে। পুলিশের এক কর্তা জানান, জেরায় ওই যুবকের দাবি, কিশোরীর সঙ্গে কয়েক মাস তার কোনও সম্পর্ক ছিল না। মেয়েটি ছোট হওয়ায় গোটা বিষয়টি সম্পর্কে বুঝতে পারেনি। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।