একদিকে বিজেপির উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জগদীপ ধনখড় এবং অন্যদিকে ১৭টি বিরোধী দলের প্রার্থী মার্গারেট আলভার। এই দুই প্রার্থীর মধ্যে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল কাকে সমর্থন করবে তা নিয়ে এখনও দলের পক্ষ থেকে অবস্থান স্পষ্ট করা হয়নি। এ নিয়ে আগামী একুশে জুলাই কালীঘাটের বাড়িতে সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলের প্রার্থী মার্গারেট আলভার মনোনয়ন জমা দেওয়া থেকে শুরু করে কৌশল বৈঠকে আগা গোড়ায় দেখা যায়নি তৃণমূলকে। এরই মধ্যে জল্পনা উস্কে দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের অবস্থান কী হবে সে বিষয়ে কুণালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে দল ভাবছে। দলই সিদ্ধান্ত নেবে। মার্গারেট আলভা শরদ পাওয়ারের প্রার্থী আর জগদীপ ধনখড় আদি বিজেপি নন। তিনি বিভিন্ন দল ঘুরে চাকরি করছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘জগদীপ ধনখড় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্যান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন জখম হয়েছিলেন তখন তিনি দেখতে গিয়েছিলেন। উনি আমাদের বলেছিলেন, ব্যক্তিগতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুবই আন্তরিক। কিন্তু প্রশাসনিক ক্ষেত্রে আমার কথা শুনেন না।’ কুণালের এই মন্তব্যে জগদীপ ধনখড়ের প্রতি যে তৃণমূলের সুর কিছুটা নরম তা অনেকটা স্পষ্ট। এখন প্রশ্ন উঠছে তৃণমূল উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কাকে সমর্থন করবে?
যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘তৃণমূলের অবস্থান খুব স্পষ্ট। ওরা কোনওভাবেই মোদীকে রাগাতে চাইছেন না। কারণ ওরা জানে মোদী অসন্তুষ্ট হলে অনেকেই জেলে যাবে। রাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের প্রার্থী যখন যশবন্ত সিনহা ছিলেন তখন কংগ্রেস সমর্থন করেছিল। আসলে বিরোধীদের ঐক্যে ফটল ধরানোই মমতার কাজ।’
অন্যদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘মমতা কনফিউজড। এখন তিনি বুঝতে পারছেন কোনও উপায় নেই।’ যদিও তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু রায় জানিয়েছেন একুশে জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠকের পরেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।