একুশের নির্বাচনের পর থেকেই দেখা যায় জুট মিলগুলিতে নানা সমস্যা। তার জেরে নোটিশ ঝুলতে শুরু করে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের। বেকার হতে থাকেন মানুষজন। এই পরিস্থিতির রিপু করে জুট মিলগুলির শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য শ্রম দফতর। জুলাই মাসেই রাজ্য শ্রম দফতর ও জুট মিল মালিকদের মধ্যে বৈঠক হয়। সেখানেই শ্রম দফতর জানতে পারে জুট মিলগুলিতে প্রকৃত শ্রমিকের অভাবের কথা। শ্রম দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে যেসব জুট মিল রয়েছে তাতে প্রায় এক লক্ষ শ্রমিকের অভাব রয়েছে। তাই প্রশাসনিক আলোচনা করে ঠিক হয় জুট মিলগুলিতে দক্ষ শ্রমিক সরবরাহের দায়িত্ব নেবে শ্রম দফতর। সেই কাজ শুরু হল।
কিভাবে দক্ষ কর্মী নিয়োগ করা হবে? শুক্রবার জুট মিল মালিকদের সঙ্গে কাঁকুড়গাছিতে বৈঠকে বসেন শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শ্রম দফতরের আধিকারিকরা। সেখানেই ঠিক হয়, তিন মাসের প্রশিক্ষণ দিয়ে জুট মিলগুলিতে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করা হবে। আর প্রশিক্ষণ নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের ৯০ দিনের প্রশিক্ষণ দেবে শ্রম দফতর। একাধিক জুট মিলে এই প্রশিক্ষণ হবে। প্রথম ৪৫ দিনের প্রশিক্ষণ কেউ নিলে তিনি পাবেন দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা। এমনকী খাওয়ার জন্য দেওয়া হবে দৈনিক ৮০ টাকা। আর শেষ ৪৫ দিনের প্রশিক্ষণ নিলে ভাতার পরিমাণ বে়ড়ে হবে ২৫০ টাকা। আর খাওয়ার জন্য বরাদ্দ থাকবে ৮০ টাকাই। প্রশিক্ষণ শেষে জুট মিলেই দেওয়া হবে চাকরি।
রাজ্যের একাধিক জুট মিলে সাপেনশন অফ ওয়ার্ক নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়ায় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্যে পড়ছিলেন ব্যক্তিরা। এমনকী সংসার চালাতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছিলেন। সেখানে পুজোর আগে এই পদক্ষেপ অনেকের কাছে আশার আলো বয়ে নিয়ে এসেছে। এই বিষয়ে শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, ‘আমাদের একদিকে লক্ষ্য যেমন জুট মিলগুলিতে দক্ষ শ্রমিক দেওয়া। অন্যদিকে বেশি সংখ্যক মানুষকে কর্মসংস্থান দেওয়াও। এই প্রশিক্ষণ শিবির মারফত আমরা একসঙ্গে দুটি কাজই করতে পারব।’