ভোট শেষ জোট শেষ। একুশের নির্বাচনের পর এই কথাই শোনা গিয়েছিল সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির গলায়। তারপর তিন বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী দিয়ে একলা চলার রাস্তায় হেঁটেছিলেন তাঁরা। ফলাফল যাইহোক। সিদ্ধান্তে অনড়ই ছিলেন। আজ, সোমবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে কার্যত ইতি টেনে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু একলা চলার বার্তা দিলেন। আর আগামী চার উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করল বামফ্রন্ট।
কেন একলা চলার পথ বেছে নিতে হল? এই বিষয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বিমান বসু বলেন, ‘নির্বাচনের পর থেকে কংগ্রেসের দেখা পাইনি। সব কাজ তো ফোনে হয় না। কম ছিলাম কিন্ত আমরা রাজনীতির ময়দানে ছিলাম। কংগ্রেস কী করবে সেটা ওরা ঠিক করবে। আমরা বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে আলোচনা করে চারটি প্রার্থী ঘোষণা করেছি।’ সুতরাং ৩০ অক্টোবরের নির্বাচনে একলা চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। যদিও এই বিষয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
বামফ্রন্টের অনেকেই মনে করছেন এখন কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের একটা বোঝাপড়া চলছে। সেখানে রাজ্য–রাজনীতিতে একলা চলাই শ্রেয়। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী জোট চিরতরে শেষ? এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি বিমান বসু। তবে বলেন, ‘জোট ভাঙল নাকি রয়েছে, সেটা বলার মতো পরিস্থিতি এখন নেই।’ এবার ৩০ অক্টোবরের নির্বাচনে কংগ্রেসও চার কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে। তাহলে লড়াই হবে চতুর্মুখী। সেখানে পরিষ্কার হয়ে যাবে কার বাজার এখনও আছে।
একুশের নির্বাচনে কংগ্রেস–আইএসএফকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল সংযুক্ত মোর্চা। সিপিআইএম–সহ শরিকরাও সেখানে ছিল। কিন্তু পুরোটাই মুখ থুবড়ে পড়েছিল। এরপর থেকে তেমন একটা একসঙ্গে দেখা যায়নি বাম–কংগ্রেসকে। জোট ভাঙার জল্পনা চলছিলই। এবার আগামী চারটি উপনির্বাচনে বামেদের পক্ষ থেকে দিনহাটা থেকে ফরোয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী হয়েছেন আব্দুর রউফ। শান্তিপুর থেকে সিপিআইএম প্রার্থী সৌমেন মাহাতো। খড়দহ আসনে সিপিআইএম প্রার্থী দেবজ্যোতি দাস এবং গোসাবা কেন্দ্রে আরএসপি প্রার্থী অনিলচন্দ্র মণ্ডল।