শুভেন্দুর ইস্তফাকে হাতিয়ার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁচাছোলা ভাষায় বিঁধলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। সঙ্গে তিনি বলেন, শুভেন্দুর পদত্যাগ নিয়ে বেশি ভাবিত নয় বামেরা। বরং তারা দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের দিকে চেয়ে রয়েছে।
এদিন সুজনবাবু বলেন, ‘দল ভাঙানোর যে নোংরা সংস্কৃতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমদানি করেছিলেন তার বলি কি এবার নিজেই হচ্ছেন? তৃণমূলের উন্নয়নের জোয়ারে সব দলে দলে সেখানে যাচ্ছিল। এখন কি ভাটা এত প্রবল যে দল ছেড়ে আস্তে আস্তে পালাচ্ছে? তৃণমূল যাঁরা তৈরি করেছিলেন তাঁরা ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছেন কেন’?
সঙ্গে তিনি বলেন, ‘শুভেন্দুর পদত্যাগ নিয়ে বেশি ভাবিত নয় বামেরা। বরং দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের দিকে তারা তাকিয়ে রয়েছে। কৃষি আইনের বিরোধিতায় দিল্লিতে ঢুকে পড়েছেন কৃষকরা। মোদীর সঙ্গে তাঁদের মোকালাত হবে।’
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর দলে দলে বাম-কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলে যোগদান করেন। বামেদের দাবি, কাউকে ভয় দেখিয়ে, কাউকে প্রলোভন দিয়ে দলবদল করানো হয়।
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতির পদও ছেড়েছেন তিনি। গতকাল HRBC-র সভাপতির পদে ইস্তফা দেন শুভেন্দু। তখন থেকেই শুরু হয়েছিল তাঁর পদত্যাগের জল্পনা। তবে বিধায়ক পদ ও দলের প্রাথমিক সদস্যপদ এখনো ছাড়েননি তিনি।