আজ, শুক্রবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এনরোলমেন্ট সংখ্যা অনুযায়ী, প্রায় ৯ লক্ষ ২৩ হাজার ছাত্রছাত্রীর ২০২৪ সালে পরীক্ষা দিচ্ছে। ২ হাজার ৬৭৫টি কেন্দ্রে এই বছর পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় পরীক্ষার্থী বাড়লেও নজরদারির সুবিধা এবং নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা কমানো হয়েছে ১৯২টি। আজকের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস রুখতে শপথবাক্য পাঠ করার নির্দেশ দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাসে বোর্ডের এই নজিরবিহীন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষক–শিক্ষিকারা।
এদিকে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া রুখতে অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রত্যেকটি প্রশ্নের ক্রমিক নম্বরে লুকিয়ে রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নপত্রের কোড। তেমন প্রশ্নপত্রই পেয়েছে পরীক্ষার্থীরা। শুরু হয়ে গিয়েছে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। প্রশ্নপত্রের ছবি কেউ মোবাইলে তুলে ছড়িয়ে দিলে ক্রমিক সংখ্যা দেখেই সেই পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করা যাবে। অভিভাবক এবং পরীক্ষার্থীদের জন্য কড়া সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পর্ষদ। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, মোবাইল ফোন এবং কোনও নিষিদ্ধ জিনিস নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ধরা পড়লে পরীক্ষাই বাতিল হয়ে যাবে।
কী আছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের শপথবাক্যে? অন্যদিকে পর্ষদের শপথবাক্যে বলা হয়েছে, ‘প্রশ্নপত্রের প্রত্যেক পাতায় ক্রমিক নম্বরের কোড লুকনো আছে। যদি কোনও পরীক্ষার্থী পাতার ছবি তোলার চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে কে ছবি তুলছে তা পরিষ্কার বোঝা যাবে। আর ওই পড়ুয়ার পরীক্ষা এই বছরের জন্য সম্পূর্ণভাবে বাতিল হয়ে যাবে। প্রশ্নপত্রের লুকানো কোড থেকে এই বিষয়টি অত্যন্ত সহজেই বোঝা যাবে। তাই পরীক্ষার্থীদের আগে থেকে সাবধান করা হচ্ছে।’ পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে। গত কয়েক বছর ধরেই এই বিষয়টি নিয়ে বিব্রত মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নানাভাবে এই প্রবণতা বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে এবার পদক্ষেপ করেছে তারা।
আরও পড়ুন: আজ থেকে রেড রোডে ধরনায় বসছেন মুখ্যমন্ত্রী, সুর নরম বার্তা এসে পৌঁছল বঙ্গে
আর কী জানা যাচ্ছে? এছাড়া মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য জেলা থেকে মহকুমা পর্যন্ত পৃথক হেল্পলাইন এবং কন্ট্রোল রুম নম্বর আগেই প্রকাশিত হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও শিক্ষা দফতরের হেল্পলাইনও চালু আছে। ডিআইদের অফিসে রয়েছে পৃথক কন্ট্রোল রুম নম্বর। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আঞ্চলিক অফিসগুলির জন্যও চলছে পৃথক হেল্পলাইন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে সমস্ত নম্বরগুলি রয়েছে। পরীক্ষা সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যায় ফোন করা যাবে। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় দু’ঘণ্টা এগিয়ে এসেছে। সুতরাং টানটান টেনশনে পরীক্ষা দিচ্ছে পরীক্ষার্থীরা।