প্রায় দুই সপ্তাহ আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পা রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেহালার ম্যান্টনে গিয়ে অবশ্য একবারও তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিবের নাম নেননি মমতা। ততদিনে অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই-এর জালে। বেহালায় দাঁড়িয়ে সেদিন কেষ্ট বন্দনা করতে শোনা গিয়েছিল মমতাকে। সেই সময় তৃণমূলের ‘দ্বিচারিতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এই আবহে আজকে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের মহাসমাবেশ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম নেন মমতা। পার্থ ইডির জালে জড়ানোর পর এই প্রথম। কী বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো?
এদিন মমতা বলেন, ‘ইডি–সিবিআই দিয়ে বাড়ি বাড়ি থেকে টাকা লুট করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নামে বদনাম করা হচ্ছে। পার্থও চোর, কেষ্টও চোর, ববিও চোর, অভিষেকও চোর, মমতাও চোর। সাধু কে? বিজেপির সবাই সাধু?’ এরপর মমতা বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দোষ হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে আনবে, ববির কিছু হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডেকে আনবে। এখনও কিছু প্রমাণ হয়নি, বিচার চলছে। কিন্তু বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে।’ প্রসঙ্গত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পরই দল এবং সরকারের সব পদ থেকে তাঁকে অপসারিত করা হয়েছিল। পার্থর সঙ্গে দল দূরত্ব বজায় রেখেছে এরপর থেকেই। এই আবহে মমতার মুখে পার্থবাবু নামের উল্লেখ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এরপর মমতা আরও বলেন, ‘আমাকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, আমার কত সম্পত্তি? প্রজাদারি জমিতে থাকি আমরা। ৭০ বছর ধরে বাবা থাকতেন। আমি আর আমার মা থাকতাম। বাকি ভাই–বোনেরা সব নিজেদের আলাদা সংসার আলাদা বাড়ি। ১৯৯১ সালের পর থেকে কোনওদিন এক্সিকিউটিভ ক্লাসে চড়িনি। ১২ বছর ধরে কোনও টাকা নিইনি। বড় বড় কথা বলা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু বলে না তাই? আমি রাজনীতিতে এসেছিলাম সমাজসেবা করব বলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গায়ে কালি লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’