দুর্গা পুজো মানেই মণ্ডপ থেকে শুরু করে রাস্তায় মানুষের ভিড়। আর ভিড় বাড়লে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। সেই ভিড়ের মধ্যেও যেভাবে পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে দমকল এবং অন্যান্য বিভাগের আধিকারিক, কর্মীরা যেভাবে তৎপরতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামলেছেন তার প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোয় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ থেকে শুরু করে অন্যান্য আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: কবে ঘুম ভাঙবে রেলের? অন্ধ্রপ্রদেশে ট্রেন দুুর্ঘটনা, উদ্বেগে মমতা
এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লেখেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপুজো শেষ হয়েছে।আমি কলকাতা পুলিশ এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বাহিনীর সমস্ত অফিসার এবং কর্মীদের ধন্যবাদ জানাই। এই দিনগুলিতে নাগরিকদের এবং পুজো আয়োজকদের আনন্দের জন্য তাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তাঁদের নজরদারিতে আমাদের উৎসব অঘটনমুক্ত ছিল। আমি তাঁদের সেলুট জানাই।’ এর পাশাপাশি দমকল বিভাগ, দুর্যোগ মোকাবেলা দফতরের কর্মী আধিকারিকদেরও ধন্যবাদ জানান মমতা। তিনি লেখেন, ,‘মাঠে নেমে তাঁরা অবিচ্ছেদ্য পরিষেবা প্রদান করেছেন। দুয়ারে পরিষেবার জন্য তাঁদের সাধুবাদ জানাই।’
উল্লেখ্য, শহরের নিরাপত্তায় প্রতিবারের মতো এবারও দুর্গাপুজোয় প্রচুর সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। পঞ্চমী থেকে নবমী পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় ১৪ হাজার বাহিনী মোতায়েন ছিল। পুলিশ কর্মীদের পাশাপাশি প্রচুর সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হয়েছিল। এ ছাড়াও নজরদারিতে রাস্তায় নেমেছিলেন পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। যানজট নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পুজোর কয়েকটা দিন তৎপরতার সঙ্গে নজরদারি চালিয়েছে পুলিশ। তা সত্ত্বেও নিয়মভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। এ বার মহালয়া থেকে নবমী পর্যন্ত শহরের রাস্তায় বিধি ভাঙার জন্য এক লক্ষ ১০ হাজার ৯২৯টি গাড়ি ধরেছে পুলিশ। তার মধ্যে বাইকের সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি। এর পাশাপাশি জেলাগুলিতে পুলিশের তরফে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাছাড়া দমকল বাহিনী এবং বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত ছিল। সবমিলিয়ে পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে পেরেছেন সাধারণ মানুষ।