নিরাপত্তা বাহিনীর নজর এড়িয়ে কীভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আগন্তুক প্রবেশ করল? তা খতিয়ে দেখতে কলকাতা পুলিশের তরফে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হল। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং নজরদারি আরও জোরদার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতার যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) মুরলীধর শর্মার নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে সিট। তাতে আছেন গোয়েন্দা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার (স্পেশাল), স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) ডেপুটি কমিশনার-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ঘটনার দিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও খামতি ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখবে সিট। ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাবাসাদ করা হবে।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh:‘মনে হচ্ছে যেন আরডিএক্স নিয়ে ঢুকেছে’: মমতার বাড়িতে ব্যক্তি প্রবেশ নিয়ে দিলীপ
কী হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে?
সূত্রের খবর, শনিবার রাত একটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির (৩৪বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট) পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়ে ওই ব্যক্তি। প্রায় সাত ঘণ্টা বাড়ির মধ্যেই ঘাপটি মেরে বসে থাকে। সকালে তাকে দেখতে পেয়েই ধরা হয়। পাকড়াও করে কালীঘাট থানার পুলিশ। তবে পুরো ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
রবিবার পুলিশের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছিল, ‘খারাপ উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চত্বরে এক ব্যক্তি কোনওভাবে ঢুকে পড়েছিল। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ওই ব্যক্তির উপস্থিতির বিষয়ে জানতে পারেন। তাকে পাকড়াও করে কালীঘাট পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
আরও পড়ুন: কেন মমতার বাড়িতে প্রবেশ ছেলের? উদ্ভট দাবি ধৃতের বাবার
কীভাবে মুখ্যমন্ত্রীর মতো জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পাওয়া একজনের বাড়িতে ওই ব্যক্তি ঢুকে পড়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সেই পরিস্থিতিতে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল। ছিলেন কলকাতা পুলিশের একাধিক শীর্ষ আধিকারিক। তারইমধ্যে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, ধৃত ব্যক্তির হাতে লোহার রড ছিল। ওদিকে, সোমবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।