সম্ভবত ছেলের হেফাজত নিয়ে বিবাদের জেরেই কাঁকুড়গাছিতে স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যা করে আত্মঘাতী হয়েছেন অমিত আগরওয়াল। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সোমবার বিকেলের ওই ঘটনায় এখনো আতঙ্কে ফুলবাগানের আনন্দম আবাসনের বাসিন্দারা। পরদিন সকালেও আবাসন ঘিরে ছিল পুলিশ। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে গিয়ে পরতে পরতে সত্য উদ্ঘাটন করতে তৎপর হয়েছেন কলকাতা পুলিশের দুঁদে গোয়েন্দারা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে শনিবার বেঙ্গালুরু পৌঁছে প্রথমবার স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা করেন অমিত। পৌঁছে যান স্ত্রীর ফ্ল্যাটে। সেখানে থাকতেন অমিতের স্ত্রী শিল্পী ও তাঁদের ১০ বছরের ছেলে। জানা গিয়েছে, প্রথমদিন অমিতকে বাড়িতে ঢুকতেই দেননি শিল্পী। ফলে ফিরে যেতে হয় তাঁকে।
রবিবার ফের শিল্পীর ফ্ল্যাটে যায় অমিত। সেখানে গায়ের জোরে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে সে। এর পর শিল্পীকে খুন করে ছেলেকে নিয়ে পালায়। রেখে আসে একটি চিরকুট।
সোমবার দুপুরের বিমানে ছেলেকে নিয়ে বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতা পৌঁছয় অমিত। এর পর ছেলেছে বেলঘরিয়ায় দাদার কাছে পাঠিয়ে দেয় সে। বিকেল ৫টা নাগাদ সে পৌঁছয় ফুলবাগানে ধনধনিয়াদের ফ্ল্যাটে। সেখানে শাশুড়িকে খুন করে আত্মঘাতী হয় অমিত।
প্রায় ১৫ বছর আগে শিল্পী ও অমিতের প্রণয়ের সম্পর্ক পরিণয়ে রূপ পায়। ২ বছর আগে অমিতের বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন শিল্পী। পুলিশ সেই মামলার বয়ান খুঁজছে। পুলিশের দাবি, সম্ভবত ছেলে কার হেফাজতে থাকবে তা নিয়ে শিল্পীর সঙ্গে অমিতের বিবাদ চলছিল। তার জেরেই এই কাণ্ড ঘটান তিনি।