মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু শুভেন্দুর সেই হুমকিকে আমলই দিচ্ছেন না কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়। উল্লেখ্য, মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ মামলায় বিধানসভার স্পিকারের ঘরে শুক্রবার শুনানি ছিল। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ৩০ জুলাই।
এদিন বিধানসভার স্পিকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেভাবে তিনি দীর্ঘসূত্রতা মনোভাব নিয়ে চলছেন, তাতে সন্তুষ্ট নন শুভেন্দু জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, অনির্দিষ্টকালের জন্য শুনানি চলবে, এটা হতে পারে না। এই প্রসঙ্গে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন শুভেন্দু। তবে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারিকে মোটেই আমল দিতে নারাজ মুকুল রায়। তাঁর বক্তব্য, 'যেখানে খুশি যাক না। আদালতে যেতেই পারে।'
এদিন পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার বৈঠকে যোগ দেন মুকুল রায়। পাশাপাশি ৪১টি কমিটির চেয়ারম্যানকে নিয়েও বৈঠক ডেকেছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কী কী কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে বিধানসভাকে আরও সমৃদ্ধ করা যাবে, সেই প্রসঙ্গে আলোচনা করেন অধ্যক্ষ। মুকুলকে চেয়ারম্যান করার বিরোধিতায় যে ৮টি কমিটি থেকে বিজেপি বিধায়করা ইস্তফা দিয়েছিলেন, সেই ৮টি কমিটিতে চেয়ারম্যানের আসনে তৃণমূল বিধায়কদের নাম ঘোষণা করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। ৪১টি স্ট্যান্ডিং কমিটির মধ্যে ৪০টিতেই তৃণমূলের বিধায়করাই থাকছেন। তবে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি যে আগামিদিনে আদালত পর্যন্ত যাচ্ছে, তা বিরোধী দলনেতার ইঙ্গিত থেকেই স্পষ্ট।