বুধবারের বৈঠকে ছিলেন। বৃহস্পতিবারের বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ মুকুল। শুক্রবার আচমকাই কলকাতায় ফিরলেন। এই নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। মুকুলের অবশ্য দাবি যে চোখের চিকিৎসার জন্য ফিরলেন তিনি। প্রয়োজন পড়লে আবার যাবেন।
তবে বিভিন্ন রিপোর্টে প্রকাশ যে দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় রাজ্যের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন মুকুল ঘোষ। তার জেরেই তিনি সফর কাঁটছাঁট করে ঘরে ফিরলেন। প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতৃত্ব রাজ্যের নেতাদের থেকে এখনকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি জানতে চায়, যেখানে বছর ঘুরলেই ভোট।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সম্ভাব্য যত আসন বিজেপি পেতে পারে বলে দাবি করেছেন, সেটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুকুল রায়। সেটার থেকেই বাদানুবাদ। মুকুল অবশ্য বলেছেন যে বুধবার সামগ্রিক ভাবে রাজ্য নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। সেটায় তিনি ছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাজ্যওয়াড়ি বিশ্লেষণ হয়েছে যেটায় তাঁর থাকার কোনও প্রয়োজন ছিল না। চোখের ইঞ্জেকশনের জন্য ফিরেছেন বলে মুকুল জানান যে নেতৃত্ব ডাকলে তিনি আবার যাবেন।
রাজ্যের সমস্ত জেলার বিজেপি সভাপতিকে ব্যাচে ব্যাচে ডেকে পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বুধবার থেকে শুরু হয়েছে পর্যালোচনা। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের জেলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রত্যেক জেলা সভাপতিকে প্রশ্নপত্র দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম প্রশ্ন হল এখন ভোট হলে কটা আসন পাবে বিজেপি। এছাড়াও বিজেপির শক্তি ও দুর্বলতা ও শাসক তৃণমূলের শক্তি ও দুর্বলতার বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। প্রত্যেকের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা করে কথা বলছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
পুরো পর্যালোচনা ওপর নজরদারি করছেন জাতীয় সম্পাদক বিএল সন্তোষ। প্রশ্ন করছেন বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত অরবিন্দ মেনন, যুগ্ন সাধারণ সচিব শিবপ্রকাশ ও কৈলাস বিজয়বর্গিয়া। বঙ্গ বিজেপির তরফে নেতৃত্বে আছেন দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহা।
গত বিধানসভা ভোটে খারাপ ফলাফল করলেও লোকসভা ভোটে ১৮টি আসন পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বিজেপি। এর জেরে প্রধান রাজনৈতিক বিরোধী হিসাবে উঠে এসেছে বিজেপি। মমতাও তাঁর ২১ জুলাইয়ে বক্তব্যে পুরোটাই বিজেপিকে আক্রমণ করতে ব্যবহার করেছেন। যেসব আসনে বিজেপি জিতেছে, সেই সব জেলায় সংগঠনে বৃহস্পতিবার ঢালাও পরিবর্তন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একদিকে তৃণমূল যেমন ঘর গোছাচ্ছে, বিজেপিও বসে নেই। এই সপ্তাহব্যাপী বৈঠক তারই প্রমাণ। কিন্তু তার মধ্যেও মুকুল রায়ের আচমকা ফিরে আসা নিয়ে নানান কথা উঠেই আসছে।