কলকাতার তিলজলায় শিশুর ক্ষত-বিক্ষত দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। আর এবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিল্লি বনাম কলকাতার সংঘাত তৈরি হল। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান অভিযোগ করলেন, মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে এসে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় তিলজলা থানার অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। তাই নয়, পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: আজ থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার, আবেদন জানানো যাবে ৪টি নয়া প্রকল্পে)
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই তিলজলা থানা এলাকায় ৭ বছরের এক নাবালিকাকে অপহরণ করে যৌন হেনস্থার পর খুনের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনা প্রসঙ্গে জানতেই শুক্রবার জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা তিলজলায় আসেন। মৃত নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁরা। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনের অভিযোগ, তিলজলা থানার ওসি বিশ্বক মুখোপাধ্যায় তাঁকে মারধর করেছেন। এই আবহে ওসি-র বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করবে বলে জানা গিয়েছে। লালবাজার সূত্রের খবর, আপাতত ছুটিতে আছেন ওসি।
আরও পড়ুন: দাম কমল রান্নার গ্যাসের, দেখে নিন আজ থেকে LPG সিলিন্ডারের নয়া রেট
প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর অভিযোগ, শুক্রবার তিনি ও কমিশের আর এক সদস্য সেক্রেটারি রুপালি বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। কমিশনের প্রতিনিধিদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, খুন হওয়া নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে তাঁদের একান্তে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন এসে তাঁদের সেই নাবালিকার বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। এরপরেই তিলজলা থানায় যান ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তখন ওসি বডি ক্যামেরা দিয়ে গোপনে প্রিয়াঙ্কের সঙ্গে নিজের কথোপকথন রেকর্ড করতে থাকেন। ভিডিয়ো করতে তিনি বাধা দিলে তাঁকে ৭-৮ জন লোক মিলে ঘিরে ফেলে। এরপর ওসি নিজে তাঁকে মারধর করেন। তাঁর দাবি, পুলিশের গাফিলতির কথা সামনে আসছিল বলেই তাঁদের এভাবে মারধর করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩৫৩, ৩৪১, ৫০৬ ও ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা হয়েছে।