প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্রকে ফোন করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই রটে যায় শিখা মিত্র তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়ে যায়, তাহলে কী রাজনীতিতে ফের সক্রিয় ভূমিকায় ফিরছেন শিখা। তবে এই ধরনের জল্পনায় রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেছেন সোমেন পুত্র রোহন মিত্র। তাঁর মতে, তৃণমূলে যোগদানের কোনও কথাই তাঁর মায়ের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর হয়নি।
গত মঙ্গলবার সোমেন মিত্রর বাৎসরিক কাজের দিন শিখা মিত্রকে ফোন করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। এই প্রসঙ্গ টেনেই সোমেন পুত্র জানান, বাবার বাৎসরিক কাজের তারিখ মনে রেখে উনি নিজেই ফোন করেছিলেন। এর সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গ আসছে কোথায়। এরপরই রোহন জানান, নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর মায়ের কুশল সংবাদ নিতে ফোন করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তখনই কথা প্রসঙ্গে বাবার বাৎসরিক কাজের দিনটি তিনি জানতে পেরেছিলেন। সেই দিনটিকে মনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ফোন করেছিলেন, সেটাই বড় ব্যাপার। তিন–চার মিনিট দুজনের মধ্যে কথা হয়। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। শিখা মিত্রের প্রসঙ্গ টেনে তিনি জানান, উনি তো আগে তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন। সেখান থেকে পদত্যাগের পর মা সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে এসেছিলেন।
সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিখা মিত্রকে বঙ্গ জননী বাহিনীতে যোগদানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কথাটা যে একেবারে অমুলক নয় সেই আভাসও মিলেছে সোমেন পুত্র রোহন মিত্রের কথাতে। তিনি জানান, বাবা চলে যাওয়ার পর মায়ের মনের অবস্থা বুঝে কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকার উৎসাহ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জন্য তাঁকে একটি কমিটিতে যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়। সম্প্রতি তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরে একাধিক পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রীর এই ফোন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।