১০ মার্চ ব্রিগেডে জনগর্জন সমাবেশে লোক জমায়েতে বড় লক্ষ্য নিল উত্ত ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল। সোমবার মধ্যমগ্রামের তৃণমূল কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন জেলা কোর কমিটির নেতারা। ব্রিগেডের প্রস্তুতি হিসাবে হিসাবে বৈঠকটি ডাকা হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে ৭লক্ষ মানুষের জমায়েত করা হবে।
এদিন জেলা কোর কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির কনভেনর পার্থ ভৌমিক, চেয়ারম্যান নির্মল ঘোষ-সহ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসু, রথীন ঘোষ, সুজিত বসু, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বারাসাতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জেলার ৩৩টি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সাত লক্ষ মানুষের জমায়েতের টার্গেট নেওয়া হয়েছে। প্রতি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ২০ হাজার করে ব্রিগেডে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া ব্রিগেড সামাবেশের প্রচারের জন্য এলাকা এলাকায় সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বীজপুর, নৈহাটি, জগদ্দল থেকে শুরু হবে এই প্রস্তুতি সভা। এলাকায় নেতা-মন্ত্রীরা ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন। প্রতিটি বিধানসভাতে যাতে সভা করা যায় তা নিয়ে সিদ্ধান্ত করা হয়েছে।
তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে এদিনের বৈঠকে দেখা যায়নি ব্যারাকপুর-দমদম সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়কে। কারণ হিসাবে শারীরিক অসুস্থতার কথা বলা হলেও তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের প্রতি অভিমানেই তিনি বৈঠকে আসেননি। শুধু এই বৈঠক নয় গত কয়েকদিন ধরেই তাঁকে দেখা যাচ্ছে না দলীয় কর্মসূচিতে।
আরও পড়ুন। গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামে রাস্তার উদ্বোধন করছে তৃণমূল, মতুয়া ভোট নিয়ে টানাটানি
আরও পড়ুন। আদর্শ আচরণবিধি জারি থাকাকালীন আবাস যোজনার টাকা দেবে রাজ্য, ঘোষণা মমতার
এদিন বৈঠকের পর মন্ত্রী চন্দিমা ভট্টাচার্য বলেন, 'বাংলার মানুষের প্রতি লাগাতার বঞ্চনা এবং হকের টাকা আটকে রাখা বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ সভা। আমরা চাইছি সাধারণ মানুষ এই সমাবেশে যোগ দিন।'
কোর কমিটির কনভেনর মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘ব্রিগেডের মাঠে ওই সভা থেকেই আমরা বুঝিয়ে দেব বাংলার মানুষ কারও বশ্যতা স্বীকার করেনি। সর্বাধিক জমায়েতের লক্ষ্যেই আমরা জেলার এই বৈঠক করেছি।’
সূত্রের খবর, বৈঠকে সন্দেশখালি নিয়েও আলোচনা হয়। সন্দেশখালিক নিকটবর্তী ধামাখালিতে আগামী ৩ মার্চ সভা করবে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন,'প্রধানমন্ত্রী আসা পর্যন্ত বিজেপি চাইছে সন্দেশখালির ঘটনা জিইয়ে রাখতে।'