প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগকে প্রশংসায় ভরালেন তৃণমূল সাংসদ। বিরল এই ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানকে প্রশংসায় ভরান তৃণমূলের রাজ্য সভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর সোজা সাপটা কথা, ‘ভালো জিনিসকে তো ভালো বলতে হবেই।’
বোর্ডের পরীক্ষার আগে ছাত্রছাত্রীদের মনোবল বাড়াতে শুক্রবার ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে কী করে পরীক্ষার সময় চাপমুক্ত থাকা যায় সেব্যাপারে পড়ুয়াদের উপদেশ দেন তিনি। সঙ্গে মোবাইল ফোন বা তার মতো কোনও বৈদ্যুতিন যন্ত্র থেকে ছাত্রছাত্রীদের দূরে থাকার পরামর্শ দেন তিনি। অনুষ্ঠানের পর এক প্রদর্শনীতে ছাত্রছাত্রীদের তৈরি নানা প্রকল্প ঘুরে দেখেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচিকে প্রশংসায় ভরিয়েছেন সুখেন্দুশেখরবাবু। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী যদি ছাত্রছাত্রীদের একটা পথনির্দেশ দেন, আগামী দিনে নিজেদের প্রশিক্ষিত করার জন্য, উপযুক্ত করার জন্য বা পরীক্ষার জন্য, মন – শরীরকে কীভাবে গড়ে তুলতে হবে সেই উপদেশ যদি প্রধানমন্ত্রী দেন তাতে তো আশ্চর্যের কিছু নেই। তাহলে তো ভালো। ভালো জিনিসকে তো ভালো বলতেই হবে’।
পালটা রাজ্যসভায় বাম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ছাত্রদের উপদেশ দেওয়ার বদলে দেশে শিক্ষা প্রসারে উদ্যোগী হওয়া উচিত ছিল প্রধানমন্ত্রীর। দেশে যে ভাবে শিক্ষার বেসরকারিকরণ ও অনলাইন শিক্ষার নামে বৈষম্য বাড়ছে তা উদ্বেগজনক। তাছাড়া পরীক্ষার আগে চাপ কী ভাবে কমানো যেতে পারে সেব্যাপারে শিক্ষকরা সব থেকে ভালো বলতে পারবেন। নিজে এসব বলার বদলে কোনও জাতীয় শিক্ষককে বলার সুযোগ করে দেওয়ার উচিত ছিল তাঁর। গোটাটাই প্রধানমন্ত্রীর প্রচারলোলুপতার অংশ। এর পিছনে ছাত্রকল্যাণের অভিপ্রায় কতটা রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বরাবরই বলি তৃণমূল বিজেপির বি টিম। বিজেপি বিরোধিতার নামে বামপন্থী ও বিরোধী ভোটারদের বিভ্রান্ত করাই তৃণমূলের কাজ। আসলে তারা পশ্চিমবঙ্গে বাম বিরোধিতার আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ। সম্প্রতি তৃণমূল নির্বাচনী বন্ডে যে বিপুল টাকা তুলেছে সেটাই তার প্রমাণ। তৃণমূলকে রাজ্যে শ্রমিক ও কৃষকের আন্দোলন ঠেকিয়ে রাখার ইনাম দিয়েছে বিজেপি। ফলে তাদের দলের সাংসদ যে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করবেন এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।