করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত শহরে সোমবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। তার পর স্থগিত হল পার্ক সার্কাস-সহ শহরের সমস্ত যায়গায় উঠল CAA ও NRC বিরোধী ধরনা। নাখোদা মসজিদের মওলানার নির্দেশে ধরনা স্থগিত রাখা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
সংসদে CAA পাশ হওয়ার পর দিল্লির শাহিনবাগের স্টাইলে কলকাতার পার্ক সার্কাস ময়দানে শুরু হয়েছিল ধরনা। দাবি ছিল, বাতিল করতে হবে পাশ হওয়া নতুন আইন। ধরনায় সামনের সারিতে ছিলেন মুসলিম মহিলারা। সেই ধরনায় হাজির হয়েছেন কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম, সমাজকর্মী মেধা পাটেকর প্রমুখ। সোমবার ১০০ দিনে পড়ে পার্ক সার্কাসের ধরনা। আর সেদিনই কলকাতায় জারি হল লকডাউন।
কলকাতায় করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করতেই পার্ক সার্কাসের ধরনা প্রত্যাহারের জন্য চাপ তৈরি হতে থাকে। কিন্তু তাতে কান দেননি উদ্যোক্তারা। সাধারণ মানুষের প্রাণের ঝুঁকির কথা বিবেচনা না করেই ধরনা জারি রাখার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। সোমবার বিকেলে শহরে লকডাউন জারি হওয়ার পর প্রশাসনের নির্দেশে ধরনা প্রত্যাহার করতে একপ্রকার বাধ্য হন তাঁরা।
ধরনা প্রত্যাহারের পর মুখ বাঁচাতে এক বিবৃতিও জারি করা হয়েছে। তাতে অবশ্য প্রশাসনিক নির্দেশের কথা কিছু লেখা নেই। সেখানে দাবি করা হয়েছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে পার্ক সার্কাস-সহ কলকাতা শহরের সমস্ত জায়গায় CAA ও NRC বিরোধী সমস্ত ধরনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হল।
এর পরই পার্ক সার্কাসের ধরনামঞ্চ ছাড়েন বিক্ষোভকারীরা। তবে সেখানে চটি পেতে রেখে গিয়েছেন তাঁরা।