টানা বৃষ্টিতে জোড়া বিপর্যয়ের মুখে পড়ল শহরের দুই প্রান্ত। কলকাতা ও হাওড়ায় দু'জায়গাতেই ভেঙে পড়ল পুরনো বাড়ির একাংশ। আর এই দুই জায়গাতেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন দু'জন।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে দেশপ্রিয় পার্কে। শনিবার দুপুরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে দেশপ্রিয় পার্কের একটি তিন তলা বাড়ির একাংশ। ৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কার্নিশের ভাঙা ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকলেন ওই বাড়ির বাসিন্দা এক ব্যক্তি। পরে দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এসে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। অন্য দিকে, দফায় দফায় বৃষ্টির জেরে হাওড়ার পুরনো একটি বাড়ির পাঁচিল ধসে জখম হয়েছেন এক ব্যক্তি। শহরের দুই প্রান্তে এই জোড়া বিপর্যয়ের ঘটনায় পুরনো বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে কলকাতা ও হাওড়ার পুর প্রশাসন। শনিবার এই দু'টি পৃথক ঘটনা ঘটেছে কলকাতা ও হাওড়ায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দেশপ্রিয় পার্কে দুপুর তিনটে নাগাদ প্রথম ঘটনাটি ঘটে। টালিগঞ্জ থানা এলাকার দেশপ্রিয় পার্কের একটি তিনতলা বাড়ির কার্নিশের একাংশ হুরমুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ঘটনার সময় সিঁড়ি দিয়ে দোতালায় উঠেছিলেন ওই বাড়িরই এক বাসিন্দা। আচমকাই কার্নিশের ওই ভাঙা অংশটি তার উপরে গিয়ে পড়ে। তবে সৌভাগ্যবশত তিনি সিঁড়ির ফাঁকের মধ্যে পড়ে যাওয়ায়, ধ্বংসস্তূপের আঘাত থেকে কোনওক্রমে রক্ষা পান। তবে প্রাণে বাঁচলেও ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়েন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল, বিপর্যয়ের মোকাবিলা দফতর ও পুলিশ কর্মীরা।
ঘন্টা তিনেকের চেষ্টায় বিকেল ৬টা নাগাদ ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। অবশ্য তার নাম পরিচয় এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। এদিন সকালে অন্য ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার সালকিয়ার হরদয়াল সুরেখা লেনে। এখানেও একটি পুরনো বাড়ির পাঁচিল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় জখম হন অমরনাথ দত্ত (8৫) নামের এক বাসিন্দা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। ঘন্টা তিনেকের চেষ্টা তাঁকে উদ্ধার করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।