আবারও চিকিৎসাধীন রোগীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল সরকারি হাসপাতালে। এবার আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে আত্মঘাতী হলেন এক রোগী। হাসপাতালের নিউরো মেডিসিন বিভাগের শৌচাগার থেকে ওই রোগীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত রোগীর নাম রামচন্দ্র মণ্ডল (৫৫)। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। এই অবস্থায় সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে আবারও উঠেছে প্রশ্ন।
হাসপাতাল ও পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রোগী উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবরার বাসিন্দা। তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের সমস্যা ছিল। সেই কারণে গত ৩০ নভেম্বর তাঁকে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। তিনি নিউরো মেডিসিন বিভাগে ভর্তি ছিলেন। আজ সকাল ৭টা নাগাদ এক রোগী শৌচাগারে গিয়েই চমকে ওঠেন। তিনি দেখেন ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে রামচন্দ্র। ঘটনায় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন ওই রোগী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এই খবর পৌঁছয়। তড়িঘড়ি চিকিৎসকরা তাঁকে দেখেন এরপরেই মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, রামচন্দ্র মণ্ডল আত্মঘাতী হয়েছেন। যদিও কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়টি স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। ময়নাতদন্তের পর রোগীর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেবে পুলিশ।
ইতিমধ্যে রোগীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, শারীরিক অসুস্থতার কারণে মানসিকভাবে অবসাদে ছিলেন ওই রোগী। সেই কারণে তিনি আত্মঘাতী হতে পারেন। কীভাবে একজন রোগী নিরাপত্তা পেরিয়ে হাসপাতালে শৌচাগারে আত্মঘাতী হলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে এক রোগী হাসপাতালের বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন।