একুশের নির্বাচনের পর তাঁর গলায় শোনা গিয়েছিল উপনির্বাচনে ভবানীপুরে প্রার্থী দেবেন না। তারপর দেখা গিয়েছিল, মমতা–সোনিয়ার কাছাকাছি আসা। কিন্তু তারপরও দেখা গেল, ভবানীপুর নিয়ে অবস্থান বদল করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন লোকসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা। তিনি জানান, হাইকম্যান্ডের কাছে জোট প্রার্থী হিসেবে প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে।
সোমবার বিধান ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে অধীর বলেন, ‘ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী দিচ্ছে। কিন্তু মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে ‘দুর্ভাগ্যবশত’ প্রার্থী দেওয়া যাচ্ছে না।’ উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে এই দুই আসনে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। ভবানীপুরে নির্বাচন হলেও এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে সামশেরগঞ্জে নির্বাচন হয়নি।
আবার অধীর চৌধুরী জানান, এক আসনের উপনির্বাচন এবং দুই আসনে নির্বাচনের ক্ষেত্রেও বামেদের সঙ্গে তাদের জোট অব্যাহত থাকবে। ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কে প্রার্থী হবেন? তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কংগ্রেস হাইকমান্ডের উপরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই চূড়ান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর সিপিআইএমের সঙ্গেও যে কংগ্রেস সমন্বয় রক্ষা করে চলছে।
বামফ্রন্টের শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকও এই আসনটি দাবি করেছে৷ দুই বাম শরিকের মধ্যে জট কাটাতে মঙ্গলবার বামফ্রন্টের বৈঠক ডাকা হয়েছে৷ জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে যেভাবে বিরোধীদের একজোট হওয়ার প্রক্রিয়া জারি আছে, তাতে কংগ্রেস মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী না দিলে তা যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী হতো। কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ জল্পনা আজ থেকেই উস্কে দিলেন অধীর বলে মনে করা হচ্ছে।