যাদবপুরে ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষক তথা প্রাক্তন ছাত্রনেতা অরিত্র মজুমদারে ওরফে আলুর নাম উঠে এসেছে। মঙ্গলবার তাঁকে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। তবে তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারছে না পুলিশ। ওই গবেষক দাবি করেছেন, তিনি ১০ অগস্ট রাজধানী এক্সপ্রেসে নয়া দিল্লিতে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টর বলছে পরের দিন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর সই রয়েছে রেজিস্টারে। তাই নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ জরুরি বৈঠকের ডাকলেন রাজ্যপাল, রাজভবনে পৌঁছলেন যাদবপুরের উপাচার্য
বুধবার যাদবপুরের অভ্যন্তরীণ কমিটির কাছে দেখা করেন অরিত্র। সেখানে তাঁর কাশ্মীরে যাওয়ার উড়ানের যাবতীয় নথি জমা নেওয়া হয়েছে। ফেসবুক পোস্টে অরিত্র দাবি করেছেন, তিনি ১০ অগস্ট শহর ছেড়েছিলেন। তাহলে ১১ অগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারে কীভাবে সই করলেন তিনি? এবিষয়ে অরিত্রর দাবি, ভুল করে তিনি সই করে ফেলেছিলেন। জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে অর্থাৎ ৯ অগস্ট তিনি যাদবপুরে এক ছাত্রের মেসে ছিলেন। তবে ৯ অগস্ট রাতে যাদবপুরের মেন হস্টেলে যাননি বলেই দাবি করেছেন অরিত্র। এমনকী বহুদিন ধরেই তিনি হস্টেলে যাননি। আবার কে পি সি হাসপাতালেও তিনি যাননি বলে তাঁর দাবি।
অরিত্র দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে হস্টেলে যে র্যাগিং করা হতো সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অরিত্র। এর আগে হস্টেলে বহিরাগতদের ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সেই সময় ছাত্রদের চাপে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাধ্য হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর সেই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন অরিত্র। সেকথা বুধবার অভ্যন্তরীণ কমিটির তরফে মনে করিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তাছাড়া, অরিত্রর সঙ্গে প্রভাবশালী নেতার যোগ থাকার যে তথ্য উঠে আসছে তা সম্পূর্ণভাবে তিনি অস্বীকার করেছেন। ফেসবুক পোস্টে অরিত্র জানিয়েছেন, ট্রেন ধরার আগে ১০ অগস্ট তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন, অথচ সেই রাতেই তাঁর ফেরার হওয়া নিয়ে প্রচার করা হয়েছে। তাঁর দাবি, তিনি ট্রেকিংয়ে যাওয়ার কথা রিসার্চ গাইডকে আগেই জানিয়েছিলেন। অরিত্রর দাবি এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হলেই সেই তথ্য জানা যাবে। একই সঙ্গে দোষীদের শাস্তি দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তৃতীয় বর্ষের তিন পড়ুয়া এবং এক প্রাক্তনীকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সৌরভ চৌধুরী একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছিল। যার নাম ‘জেইউএমএইচ’ সেই গ্রুপেই পুলিশকে ছাত্র মৃত্যু নিয়ে ক বলা হবে? তা শিখিয়েছিল সৌরভ। মোবাইল গুলির ফরেন্সি পরীক্ষা করে এই সব তথ্য জানা গিয়েছে।