দুর্গাপুজোয় খুচরো বাজারে সবজির দাম বৃদ্ধি হয়েছে। এতটাই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে যে জেরবার সাধারণ মানুষ। কিছুদিন আগেও পটল, ঢ্যাঁরশ, ঝিঙে–সহ নানা সবজির দাম ৪০–৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো। এখন সেগুলি একধাক্কায় ৭০–৮০ টাকা কেজি দরে পৌঁছেছে। বেগুন, উচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। ফুলকপি, বাঁধাকপি–সহ শীতের সবজি জোগান বেড়েছে। তবে চড়া দাম হাঁকছে বিক্রেতারা। বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। ছোট ফুলকপি ৪০ টাকা। সবজির দাম যে বেড়ে গিয়েছে তা স্বীকার করছেন রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে।
এদিকে বাজারে জোগান কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে’র দাবি, ‘সম্প্রতি অতিবৃষ্টিতে বিশেষ করে পটল, ঢ্যাঁড়শ, উচ্ছে, ঝিঙে এবং অন্যন্য সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি দুর্গাপুজোর সময় পণ্যবাহী গাড়ি শহরে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ থাকায় জোগান কমছে সবজির।’ দুর্গাপুজোর সময় পণ্য পরিবহণ খাতে খরচ বেড়েছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। এইসব কারণে প্রভাব পড়েছে দামে। তবে পাইকারি বাজারে যা দর সেই অনুপাতে খুচরো বাজারে এত বেশি দাম হওয়ার কথা নয়। এমনটাই বলছেন পাইকারি বাজারের বিক্রেতারা।
অন্যদিকে প্রত্যেক বছরেই বর্ষার বিদায় ও শীত আসার মাঝে সবজির কিছুটা খামতি দেখা যায়। কারণ বিশ্বের সবজির ফলন এই মধ্যবর্তী সময়ে কমতে থাকে। আর শীতের সবজিও খুব বেশি মেলে না। আবহাওয়া প্রতিকূল না হলে কালীপুজোর পর নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে শীতের সবজির জোগান বাড়তে পারে। তখন নিশ্চিতভাবে দামও কমবে। শীতের সবজি বেশি পরিমাণে বাজারে আসতে শুরু করবে। এখন ফুলকপি, বাঁধাকপি–সহ নানা সবজি আসে কর্নাটক এবং ঝানখণ্ড রাজ্য থেকে। তাই পরিবহণ খরচ বেশি হয়।
আরও পড়ুন: বিষ খাইয়ে নিজের স্বামী–শ্বশুরবাড়ির সদস্যকে খুন করলেন বিজ্ঞানী, স্তম্ভিত পুলিশ
আর কী জানা যাচ্ছে? টমেটো, ক্যাপসিকাম, বিনস–সহ কয়েকটি সবজি এখন আসছে কর্নাটক থেকে। এগুলির দাম এখন স্থিতিশীল রয়েছে। খুচরো বাজারে ৪৫–৫০ টাকা কেজি দরে টমেটো বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে অবশ্য দাম ২৫–২৭ টাকার মধ্যে। সবজির মধ্যে আলু অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছে। সাধারণ জ্যোতি আলু খুচরো বাজারে ২০–২২ টাকা কেজি। আলু ব্যবসায়ীরা বলছেন, যে পরিমাণ আলু হিমঘরে মজুত আছে তাতে দাম বৃদ্ধির কোনও সম্ভাবনাই নেই। পিঁয়াজ ভিন রাজ্য থেকে এলেও দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ৪০–৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।