রেশন দুর্নীতির তদন্তে বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটে বিস্ফোরক দাবি করল ইডি। তাদের দাবি, বাকিবুরের সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যে টাকা এসেছে তার অর্ধেকের বেশিই নগদে। মোট ২২৮ কোটি টাকা নগদে জমা পড়েছে ওই অ্যাকাউন্টে। টাকার উৎস কী তা জানাতে পারেননি বাকিবুর।
চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, বাকিবুর রহমানের সংস্থা NPG রাইস মিলের অ্যাকাউন্টে মোট ৪১৯ কোটি টাকা জমা পড়েছে। তার মধ্যে ২২৮ কোটি টাকা জমা পড়েছে নগদে। এব্যাপারে বাকিবুরের সংস্থার চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট জয়শংকর গুপ্তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, এই টাকার কোনও উৎস জানাননি বাকিবুর। জানিয়েছেন, চাল ও আটা বিক্রির টাকা জমা পড়েছে নগদে। টাকা যেহেতু নগদে জমা পড়েছে ফলে উৎস খতিয়ে দেখার সুযোগ ছিল না তাঁর কাছে।
ইডির অনুমান, এই ২২৮ কোটি টাকার পুরোটাই রেশন দুর্নীতির। রেশনের চাল খোলা বাজারে সস্তায় বিক্রি করে নগদে দাম নিয়েছেন বাকিবুর। তার পর সেই চালকে তাঁর মিলের চাল বলে খাতায় কলমে দেখিয়ে দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। এই টাকা যে তাঁর মিলের চাল ও আটা বিক্রির তা আদালতে প্রমাণ করতে হবে বাকিবুরকে।
রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে বাকিবুর রহমানের একাধিক সংস্থার খোঁজ পেয়েছেন ইডির গোয়েন্দারা। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি সংস্থায় যৌথভাবে পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন বাকিবুর ও প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পরিবারের সদস্যরা। তদন্তকারীদের অনুমান, এভাবেই একাধিক সংস্থার অ্যাকাউন্টে নগদে লেনদেন করে রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করেছেন বাকিবুর ও বালু।